দক্ষিণ এশিয়া

নারী কর্মীদের পুরুষ স্বজনদের কর্মক্ষেত্রে পাঠাতে বলেছে তালেবান

কাবুল, ১৮ জুলাই – আফগানিস্তানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারী কর্মীদের তালেবানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কর্মক্ষেত্রে তাদের পুরুষ স্বজনদের পাঠাতে। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এমন একজন নারী জানিয়েছেন, তার কাছে তালেবান কর্মকর্তারা ফোন করেছেন। সে সময় তাকে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে তার পরিবর্তে কোনো পুরুষ স্বজনকে পাঠাতে।

তালেবান কর্মকর্তারা তাকে বলেছেন, কর্মক্ষেত্রে কাজের চাপ বেড়েছে তাই তারা নারী কর্মীদের পরিবর্তে কোনো পুরুষ কর্মীকে নিয়োগ দিতে চান।

গত বছরের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা গ্রহণ করে তালেবান। তারপর থেকে দেশটিতে নতুন নতুন বিধিনিষেধ জারি হচ্ছে। অর্থনীতি বিষয়ক দপ্তরের এক নারী বলেন, তালেবান যখন থেকে ক্ষমতায় এসেছে তখন থেকেই কর্মক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তারা আমার বেতন কমিয়ে দিয়েছে।

আগে তিনি ৬০ হাজার আফগানি পেতেন (৫৭৫ পাউন্ড)। কিন্তু বর্তমানে তার বেতন মাত্র ১২ হাজার আফগানি। তিনি বলেন, আমি এখন আমার ছেলের স্কুলের বেতনও দিতে পারছি না। এ বিষয়ে এক কর্মকর্তাকে জিজ্ঞেস করায় তাকে অফিস থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হয়।

ওই নারী জানান, তিনি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পোস্টে কাজ করছেন। কিন্তু এখন তাকে বলা হচ্ছে এই পোস্টে অন্য কোনো পুরুষকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

তিনি ব্যবস্থাপণায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নিয়েছেন। অর্থনীতি মন্ত্রণালয়ের একটি দপ্তরের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি।

এদিকে তালেবানের বিভিন্ন নীতিমালা নিয়ে বিশ্বজুড়ে বেশ সমালোচনা হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। নারী কর্মীদের ওপর বিভিন্ন বিধিনিষেধের কারণে অর্থনীতিতে এক বিলিয়ন ডলার বা আফগানিস্তানের জিডিপি ৫ শতাংশ কমে যেতে পারে। জাতিসংঘের নারী বিষয়ক সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সিমা বাহুস গত মে মাসে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।

দেশটির অর্থনীতি ইতোমধ্যেই ধসে পড়েছে। বেশিরভাগ মানুষই এখন দারিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। লাখ লাখ মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটের মধ্যে দিন পার করছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনো লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/১৮ জুলাই ২০২২

Back to top button