রাত পোহালেই ত্যাগ-মহিমার ঈদ
ঢাকা, ০৯ জুলাই – ত্যাগের মহিমা নিয়ে আবারও এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মুসলিম সম্প্রদায়ের বৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবটি রোববার উদযাপন হবে। ঈদ উদযাপনে প্রস্তুত গোটা দেশ।
ঈদের দিন সকালে নামাজ আদায়ের মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন শুরু হবে। এরপর যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট কুরবানি দেবেন সামর্থ্যবান মুসলমানরা। তবে ঈদের পরের দুই দিনও পশু কোরবানির বিধান রয়েছে।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, কোরবানির পশুর মাংসের একটি অংশ গরীব ও অসহায় মাঝে বিলি করা হয়। এ ছাড়া পশুর চামড়া বিক্রির অর্থও গরিবের মাঝে বিতরণ করা হয়।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীসহ বিশ্বের সব মুসলমানের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এদিকে করোনা বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ পালনে বেশ কিছু নির্দেশান দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- বাসা থেকে অজু করে ঈদগাহে বা মসজিদে আসা। অজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখা। মুসল্লিদের মাস্ক পরা। ঈদের নামাজ আদায়ের সময় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে এক কাতার অন্তর অন্তর দাঁড়াতে বলা হয়েছে।
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত সকাল ৮টায় হবে। তবে করোনা বেড়ে যাওয়ায় বঙ্গবভনেই ঈদের নামাজ আদায় করবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
প্রতিবারের মতো এবারও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মুকাররমে ঈদের পাঁচটি জামাত হবে। কিশোরগঞ্জের শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানেও এবার ঈদ জামাত হবে।
এ ছাড়া সারাদেশে জেলা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ এবং সরকারি সংস্থাগুলো জাতীয় কর্মসূচির আলোকে ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
সূত্র : আরটিভি
এম এস, ০৯ জুলাই