ইউরোপ

কে হচ্ছেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

লন্ডন, ০৭ জুলাই – লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে অবশেষে পদত্যাগ করতেই বাধ্য হলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এর পরেই জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে, বরিসের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসবেন কে? লন্ডনের হাওয়ায় ভাসছে একাধিক নাম।

এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য নাম ব্রিটেনের সদ্য পদত্যাগী অর্থমন্ত্রী তথা ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি বহুজাতিক ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণমূর্তির জামাই ঋষি সুনকের।

তবে শুধু ঋষিই নন, বরিসের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসার দৌড়ে আছেন আরও কয়েক জন। তাদের মধ্যে অন্যতম, প্রাক্তন লেভেলিং আপ সেক্রেটারি মাইকেল গোভ, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমন্ত্রী পেনি মোরডন্ট, প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লিজ ট্রুস, ফরেন অ্যাফেয়ার্স চেয়ার টম টুগেনঢাট, প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, বর্তমান অর্থমন্ত্রী নাধিন জাহাউয়ি। এ ছাড়াও প্রাক্তন মন্ত্রী জেরেমি হান্ট ও সাজিদ জাভিদ দু’জনেই আগের বার কনজারভেটিভ পার্টির নেতা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। তাই তারা এ বারও দৌড়ে থাকতে পারেন।

সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের একটি অংশ ঋষিকে রাখলেও, অনেকেই বলছেন আজ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে অশ্বেতাঙ্গ কেউ বসেননি। তাই টোরিরা ঋষিকে নির্বাচিত করলে তা প্রকৃত অর্থেই হবে নয়া ইতিহাস। কারও কারও মতে সেটা অসম্ভব।

২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে বরিস জনসন ঋষিকে নিয়ে আসেন অর্থমন্ত্রী পদে। পরিভাষায় চ্যান্সেলর অব দ্য এক্সচেকার। সেই প্রথম ৪২ বছরের ঋষি ব্রিটেনের মন্ত্রিসভার সদস্য হন।

ঋষি প্রথমে নজরে আসেন অতিমারির সময়। বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করে সাধারণ মানুষের স্বার্থে একাধিক প্রকল্প শুরু করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ইস্তফাপত্রে কী ভাবে অতিমারির সময় বহু মানুষের পেশাগত স্বার্থ রক্ষা করেছিল সরকার, সে কথাও উল্লেখ করেছিলেন ঋষি। সরকারের ঘাড়ে বোঝা চাপলেও এতে বিপুল জনপ্রিয়তা পান তিনি।

স্ত্রী অক্ষতা মূর্তির বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ঋষিকে।

করোনা অতিমারি চলাকালীন ডাউনিং স্ট্রিটে লকডাউন অগ্রাহ্য করে হুল্লোড় করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধেও। জরিমানাও দিতে হয় ঋষিকে।

ক্যালিফোর্নিয়ায় পড়ার সময় ঋষির সঙ্গে দেখা হয় অক্ষতার। তার পর প্রেম এবং বিয়ে। আপাতত কৃষ্ণা ও অনুষ্কা— দুই সন্তানকে নিয়ে অক্ষতা-ঋষির সংসার।

ফার্মাসিস্ট মা ও চিকিৎসক বাবার সন্তান ঋষির পড়াশোনা অক্সফোর্ড ও স্ট্যানফোর্ডে। ইয়র্কশায়ারের রিচমন্ডের আইনসভার সদস্য হিসাবে ২০১৫ সালে প্রথম ব্রিটেনের পার্লামেন্টে প্রবেশ। ব্রেক্সিট-এর ঘোর সমর্থক ঋষি জনসনকে রাজি করানোর ব্যাপারে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন বলে অনেকে দাবি করেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ০৭ জুলাই

Back to top button