জাতীয়

চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে খালেদা জিয়া

ঢাকা, ০২ জুলাই – বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। তারপরও ঝুঁকি এড়াতে তাকে বাসায় নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বাসা ‘ফিরোজা’কে মিনি হাসপাতালের মতো বানানো হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক যে অবস্থা, তাকে নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। তা না করা হলে তার প্রকৃত শারীরিক অবস্থা বোঝা যায় না।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে বিএনপির মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেছেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা, তিনি পুরোপুরি সুস্থ না হলেও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকির কারণে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাসায় এখন প্রতিদিন নিয়ম করে মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। সে অনুযায়ী ওষুধ পরিবর্তন করা হচ্ছে নিয়মিত। চিকিৎসকদের পাশাপাশি নার্সরাও নিয়মিত দুই শিফটে তারা বাসায় ডিউটি করছেন।’

খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ‘ম্যাডাম বাসায় আছেন। উনাকে ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসক ও নার্সরা নিয়মিত উনার দেখাশোনা করছেন। তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রয়োজনমতো ওষুধ পরিবর্তন করা হচ্ছে।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে খালেদা জিয়ার একজন চিকিৎসক বলেন, ‘আগের চাইতে ম্যাডামের অবস্থা এখন অনেকটা ভালো। খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও ধীরে ধীরে তার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু উনার বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে যেকোনো মুহূর্তে, যেকোনো দিকে টার্ন নিতে পারে। সে কারণে সতর্কতা অবলম্বনের অংশ হিসেবে আমরা (চিকিৎসকরা) সব সময় তাকে পর্যবেক্ষণে রাখছি। যাতে কোনো ঝুঁকি দেখা দিলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে শিফট করা যায়।’

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুন (শুক্রবার) গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হলে রাজধানীর বেসরকারি এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৭৬ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়াকে। পরে এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়। হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসা শেষে ২৪ জুন বাসায় ফিরেন খালেদা জিয়া।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এম এস, ০২ জুলাই

Back to top button