শিক্ষা

রাবিতে শিক্ষিকা লাঞ্ছিত, ছাত্রকে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

রাজশাহী, ২৯ জুন – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) আইন বিভাগের ক্লাস চলাকালীন শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে সেই বিভাগের মাস্টার্সের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে নিজ বিভাগের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থী। বুধবার (২৯ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের আইন বিভাগের ২৪৪ নাম্বার কক্ষে এমন ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষিকা হলেন অধ্যাপক ড. বেগম আসমা সিদ্দিকা। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক। অভিযুক্ত শিক্ষার্থী হলেন আশিক উল্লাহ। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চতুর্থ বর্ষের ক্লাস চলাকালীন আশিক উল্লাহ তার মাস্টার্সের পরীক্ষা কেন্দ্রিক কোনো সমস্যার কারণে শিক্ষিকার সাথে ঝামেলা শুরু করেন। তখন ওই শিক্ষিকা অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে তার সমস্যা নিয়ে বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে যাওয়ার জন্য বলে।কিন্তু ওই শিক্ষার্থী এসব কথা না শুনে শিক্ষিকাকে বের হতে দিবে না বলে ক্লাসের দরজা বন্ধ করে দেন। তখন ক্লাসে ভিতর থাকা শিক্ষার্থীরা ক্ষেপে যায় এবং শিক্ষককে বের করে বিভাগের চেয়ারম্যানের রুমে পৌঁছে দিয়ে আসেন। এসময় শিক্ষার্থীদেরকেও হুমকি দেন ওই অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ।

এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অফিসের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি অভিযুক্ত আশিক উল্লাহকে আজকের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে এবং তাকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা বলেন, আমাদের ম্যামের অপমানের সঠিক বিচার আমরা আজকের মধ্যেই চাই। উপাচার্যের ক্ষমতা বলে সাতদিনের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থীকে পদত্যাগ করতে পারেন। ওই আইনের আওতায় এনে আজকের মধ্যে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আইন বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন মামলা করে তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাবো।

এবিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান বলেন, শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা মতো ঘটনা অবশ্যই অন্যায়। আমরা একাডেমিক জরুরি মিটিং ডেকেছি সিদ্ধান্ত হলে জানাবো বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আশিক উল্লাহ ‘র বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে।

সূত্র : বিডি২৪লাইভ
এম এস, ২৯ জুন

Back to top button