মধ্যপ্রাচ্য

কাসেম সুলাইমানি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে

তেহরান, ১৯ জুন – ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সুলাইমানির হত্যাকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। তিনি বলেছেন, ৫০০ আমেরিকানকে হত্যার একটি চক্রান্ত ঠেকাতেই ইরানের এই কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি মালিকানাধীন সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

মাইক পম্পেওর এই সাক্ষাৎকারটি গত শুক্রবার প্রকাশ করে আল আরাবিয়া। সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫০০ আমেরিকানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন সুলাইমানি। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাতের সুযোগ যুক্তরাষ্ট্রের ছিল এবং আমরা সেটিই করেছি। সুলাইমানি হত্যার নেপথ্যের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ইরানের পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে সরিয়ে নিতে চাইলে যুদ্ধ হবে! অনেকটা এ রকম সতর্কবার্তা ছিল। যুক্তরাষ্ট্র তার ইসরায়েল দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরিত করলেও যুদ্ধের সতর্কবার্তা ছিল। জেনারেল সুলাইমানির ওপর হামলা চালালেও যুদ্ধের সতর্কতা ছিল। মাইক পম্পেও বলেন, ভালো কথা! এই সতর্কবার্তাগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র শুধু একটি বা দুটিই করেনি। আমরা এর তিনটি কাজই করেছি এবং কোনো যুদ্ধ হয়নি।

এটি ট্রাম্প প্রশাসনের ত্বরিৎ সিদ্ধান্ত ছিল কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা ইরাকে আমাদের সম্পদ, সিরিয়ায় আমাদের লোকজন এবং প্রকৃতপক্ষে পুরো দুনিয়ায় আমেরিকানদের সুরক্ষার জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছিলাম। কুদস ফোর্স কী করছে আমরা তা দেখছিলাম। এটি এমন একটি প্রকল্প ছিল যেটিতে আমরা ক্রমাগত নিযুক্ত ছিলাম। আমাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ, জনগণ এবং আসন্ন হামলা বন্ধের সুযোগ ছিল। সেই সিদ্ধান্তই প্রেসিডেন্ট নিয়েছেন।’

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে জেনারেল সুলাইমানি এবং ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদী আল-মুহান্দিসকে হত্যা করা হয়। হামলার পাঁচ দিন পর ৮ জানুয়ারি ইরাকে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর দাবি করে ইরান। এরপর থেকে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে বৈরিতা শুরু হয়।

সূত্র: দেশ রূপান্তর
এম ইউ/১৯ জুন ২০২২

Back to top button