কিশোরগঞ্জে বন্যায় ১৫ গ্রামে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
কিশোরগঞ্জ, ১৯ জুন – উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও প্রবল বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হাওরের পানি বেড়ে গেছে। এ কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে ১৫টি গ্রামের।
এতে ১০ হাজার গ্রাহক বিপাকে পড়েছেন।
শনিবার (১৮ জুন) রাত থেকে নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িক সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও ইটনা হাওরে পানি বাড়ায় নিয়ামতপুর এবং চৌগাংগা পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন শান্তিপুর, চারিতলা, বালিয়াপাড়া, খাকশ্রী, সুতারপাড়া, বালিখলা, চং নোয়াগাঁও, পাঁচকাহনিয়া, বড়িবাড়ি, এনসহিলা, দিয়ারকান্দি, বাদলা, কুর্শি, শিমুলবাঁক ও টিয়ারকোণা এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনে ক্লিয়ারেন্স কমে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। আর এজন্যই বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে ১৫টি গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বন্যার কারণে কিশোরগঞ্জের দুটি উপজেলার ১৫টি গ্রামের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পানি কমে গেলেই আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হবে।
কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম প্রায় পুরোপুরি বন্যা কবলিত হয়েছে। এছাড়া তাড়াইল, করিমগঞ্জ, নিকলী, বাজিতপুর ও ভৈরবের আংশিক এলাকা বন্যা কবলিত হয়েছে। এরই কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ১২০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
সূত্র: বাংলানিউজ
এম ইউ/১৯ জুন ২০২২