জাতীয়

সীতাকুণ্ডে আগুন: বার্ন ইনস্টিটিউটে আরও ৭ জন ভর্তি

ঢাকা, ০৫ জুন – শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধদের মধ্যে আরও সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

দগ্ধরা হলেন— ফায়ার সার্ভিসকর্মী গাউসুল আজম (২২) ও রবিন মিয়া (২২)। অন্যান্যরা হলেন— মাসুম মিয়া (৩৪), ফরমানুল ইসলাম (৩০), রুবেল মিয়া (৩৪), ফারুক (১৬) ও হোসেন মহিবুল্লাহ (২৭)।

রোববার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের শেখ হাসিনা বার্নে নেয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ইন্সপেক্টর ইউনুস আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইউনুস আলী জানান, সীতাকুণ্ডে বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ দুই ফায়ার কর্মীসহ সাতজনকে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে তাদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, আমাদের এখানে চট্টগ্রাম থেকে আরও সাতজনকে আনা হয়েছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে দগ্ধ ১৪ জনকে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের সবারই ইনহেলেশন (শ্বাসনালী) বার্ন রয়েছে। কেউ শঙ্কামুক্ত নন।

শনিবার (৪ জুন) রাত ৯টার দিকে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি এলাকায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করার সময় রাসায়নিক থাকা একটি কনটেইনারে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াছ চৌধুরী।

রাতেই আহতদের অধিকাংশকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য হাসপাতালেও অনেককে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৯ কর্মীও রয়েছেন।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/০৫ জুন ২০২২

Back to top button