ব্যবস্থাপনা ও প্রশ্নের মান নিয়ে শিক্ষার্থীরা সন্তুষ্ট : ঢাবি ভিসি
ঢাকা, ০৪ জুন – ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের কলা অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষা শনিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেশের ৮ বিভাগীয় শহরে একই সাথে অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপাচার্য জানান, ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আজকের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, মোট ১৭৮৮ টি আসনের বিপরীতে এবার ‘খ’ ইউনিটে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৫৮ হাজার ৫৫১ জন। সেক্ষেত্রে এই ইউনিটে প্রতি আসনের বিপরীতে ৩২.৭৪ জন পরীক্ষা দিয়েছে। এবারের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৬০ নম্বরের এমসিকিউ এবং ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এমসিকিউ পরীক্ষা ৪৫ মিনিট এবং লিখিত পরীক্ষা ৪৫ মিনিট ধরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সকাল সোয়া ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ব্রিফিং করার সময় ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান শিক্ষার্থীদের সন্তুষ্টির কথা জানান। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ভোগান্তি লাঘবের কথা বিবেচনা করে বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিভাগীয় শহরের বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন উপাচার্যের সাথে আমার কথা হয়েছে। তারাও কোনো ধরণের সমস্যা ছাড়া যথাযথভাবে ভালো পরীক্ষা পরিচালনা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে দুটো কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। শিক্ষার্থীদের সাথে আমি কথা বলেছি। শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার হলের পরিবেশ, প্রশানপত্রের মান, এগুলো নিয়ে খুব সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ‘খ’ ইউনিটের সাড়ে ৫৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অংশগ্রহণ করেছে প্রায় ২৭ হাজার। বাকি ৩১ হাজার অন্যান্য বিভাগীয় শহরে। আজকে ১টি সিটের বিপরীতে প্রায় ৩৩ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতাই আমাদের ভর্তি পরীক্ষার সৌন্দর্য।’
গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করে তিনি জানান, ‘বাইরের পরিবেশটা আমাদের আরেকটু ভালো করতে হবে। আমরা অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদের অতিরিক্ত ভিড় এবং যানবাহনে নিয়ন্ত্রণে অনুরোধ করেছি। স্বেচ্ছাসেবক এবং সংশ্লিষ্টরা শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করবে যাতে তাদের কোনো সমস্যা না হয়। তারপরও বিপুল সংখ্যক অভিভাবক এবং শুভাকাঙ্ক্ষী ক্যাম্পাসে আসেন। শিক্ষার্থীরা অনেক ম্যাচুর। তাদের ছেড়ে দিন। তারা নিজেদের মতো করে সব করলে তারা আরও দক্ষ হবে। এবং ভালো মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে।’
এদিকে একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে ব্যবস্থাপনা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট। বিশেষ করে ছাত্রসংগঠনগুলো এবং আঞ্চলিক সংগঠন-সমিতির পরিসেবা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তারা। আফজাল আহমেদ নামের এক অভিভাবক বলেন, ‘অভিভাবকদের বসার জন্য যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটা খুবই ভালো উদ্যোগ। ক্যাম্পাসের যত্রতত্র ঘোরাঘুরি করলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট হয়। তাছাড়া এখন পরীক্ষা দিয়ে এসে সন্তানরা যার যার অভিভাবককে খুঁজে নিতে পারবে। এগুলো অনেক ভোগান্তি কমাবে।’
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম, আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও রোভারস্কাউট ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সচেষ্ট। প্রক্টরিয়াল টিমকে বিভিন্ন ধরণের লিফলেট জব্দ করতেও দেখা যায়।
প্রসঙ্গত, এর আগে শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ১০ জুন বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিট, ১১ জুন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিট এবং ১৭ জুন চারুকলা অনুষদভুক্ত ‘চ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা (সাধারণ জ্ঞান) অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ০৪ জুন