জাতীয়

অর্থের বিনিময়ে বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ দিতে চায় সংসদীয় কমিটি

ঢাকা, ২৯ মে – অর্থের বিনিময়ে সাধারণ যাত্রীদের ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুযোগ দিতে চায় সংসদীয় কমিটি। এ বিষয়ে সুপারিশের পাশাপাশি ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের অভিন্ন নীতিমালা তৈরিতে একটি সংসদীয় সাব-কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির আগের বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়েছিল। রবিবারের (২৯ মে) বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওই সুপারিশের অগ্রগতি সংসদীয় কমিটিকে অবহিত করা হয়।

বৈঠকের কার্য বিবরণী থেকে জানা গেছে, নির্ধারিত এজেন্ডাভুক্ত ভিআইপি ব্যবহার বিষয়টির আগের বৈঠকে উত্থাপনকালে বিমান সচিব বলেন, ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের মন্ত্রণালয়ের এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার সুযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেন সচিব।

সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, মন্ত্রণালয়ের যে কোনও কার্যক্রমের ওপর সুপারিশ করার এখতিয়ার সংসদীয় কমিটির রয়েছে। তারই নিরিখে কমিটি ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার সম্পর্কিত কিছু সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠাতে পারে।

সরকারের নির্ধারিত ভিআইপি ছাড়া অন্য ভিআইপি যাত্রীদের জন্য মালেসহ পৃথিবীর অন্যান্য বিমান বন্দরে ফি প্রদানের মাধ্যমে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের সুবিধা আছে। দেশের আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরগুলোর অবকাঠামো আধুনিকায়ন করে ভিআইপি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ করা যায় কিনা সে বিষয়টি বিবেচনার পরামর্শ দেন উবায়দুল মোকতাদির।

বর্তমানে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারে অনেকগুলো সার্কুলার ও নীতিমালা বিদ্যমান থাকায় কমিটির পক্ষ থেকে সেসব সমন্বয় ও পর্যালোচনা করে সময়োপযোগী একটি বুকলেট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এতে তানভীর ইমামকে আহ্বায়ক এবং আনোয়ার খান ও কানিজ ফাতেমা আহমেদকে নিয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ররিবারের বৈঠকে অর্থের বিনিময়ে ব্যক্তি-পর্যায়ে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার বিষয়ক সুপারিশের অগ্রগতির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়- যেহেতু ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের নীতিমালা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে অনুমোদিত সেহেতু সরকারের নির্ধারিত ভিআইপিদের বাইরে আরও যে সকল যাত্রী ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহার করতে আগ্রহী তাদের কাছ থেকে ফি গ্রহণের মাধ্যমে ভিআইপি লাউঞ্জ ব্যবহারের বিষয়টি সাব কমিটির সুপারিশের পর মন্ত্রিপরিষদ থেকে অনুমোদিত হলে সেই অনুযায়ী বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে।

কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলী, সৈয়দা রুবিনা আক্তার ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হজ পালন উপলক্ষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৫ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত হজ ফ্লাইট কার্যক্রম চলমান থাকবে। কমিটি হজ পালন শেষে হাজিদের দেশে ফিরয়ে আনার জন্য সুষ্ঠুভাবে বিমানের শিডিউল গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে। কমিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়নাধীন কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন করার সুপারিশ করে।

সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
এম এস, ২৯ মে

Back to top button