দক্ষিণ এশিয়া

ইমরানের লংমার্চ: শেহবাজ সরকারের খরচ ১৫ কোটি রুপি

ইসলামাবাদ, ২৮ মে – সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এর ‘হাকিকি আজাদি মার্চ’ ঠেকাতে পাকিস্তান সরকারের খরচ হয়েছে ১৫ কোটি রুপি।

নাম গোপন রাখার শর্তে পুলিশ কর্মকর্তারা ডনকে বলেন, অর্থের জন্য সরকারের কাছে চাহিদা তালিকা পাঠালে তা অনুমোদন দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ তথ্য যাচাইয়ের জন্য বারবার চেষ্টা করেও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ডক্টর আকবর নাসির খানের মন্তব্যের জন্য তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি ডন।

এদিকে হঠাৎ লংমার্চ বন্ধে সমালোচনায় পড়েছেন ইমরান খান। অভিযোগ উঠছে, সরকারের সঙ্গে চুক্তি করে সরকার পতনের আগেই লংমার্চ শেষ করেছেন তিনি।

এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে ইমরান খান জানান, চুক্তি নয়-রক্তপাত এড়াতেই আজাদি মার্চ বন্ধ করেছি। পিটিআইয়ের লংমার্চ ঠেকাতে সম্পূরক অনুদানের জন্য মুখ্য কমিশনারের কার্যালয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। পরে তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে তহবিল আকারে বরাদ্দের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা। পুলিশি বাজেটের আবেদন অনুযায়ী পাঁচ দিনের জন্য ৩৮০টি কন্টেইনার ভাড়া করার জন্য চার কোটি ৭৫ লাখ, চারটি ক্রেনের জন্য ১৩ লাখ এবং চারটি কাঁটা উত্তোলকের জন্য ১০ লাখ রুপি বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল। একইভাবে, বাইরে থেকে রাজধানীতে ফোর্স পরিবহণের জন্য ১০০টি বাসের জন্য ২৭ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০, রাজধানীর ভিতরে বাহিনী পরিবহণের জন্য ৩৫০টি বাসের জন্য ৯৭ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫০, লজিস্টিক দলের ১০০টি ট্রাকের জন্য ১৬ লাখ ৮৫ হাজার, পাঁচ দিনের খাবার পানির জন্য ১৬ লাখ ৮৫ হাজার, ১০টি পানির ট্যাংকারের জন্য দুই লাখ ৬০ হাজার রুপি দাবি করা হয়েছিল।

অধিকন্তু, রাজধানী এবং অন্যান্য জেলা পুলিশের ১৫ হাজার কর্মকর্তার পাঁচ দিনের জন্য খাবার বাবদ চার কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার এবং দাঙ্গা-বিরোধী কিট কেনার জন্য আরও তিন কোটি ৫৩ লাখ রুপি দাবি করা হয়েছিল।

একইভাবে বিবিধ আইটেম- পানি, কুলার, টর্চ, বৈদ্যুতিক ব্যাটারি ক্রয়ের জন্য চাওয়া হয়েছিল ৪৫ লাখ রুপি। প্রধান কমিশনার অফিসের সূত্র ডনকে জানিয়েছে, ২০২১-২০২২ বাজেটে যানবাহন এবং কন্টেইনারের জন্য সাত কোটি রুপি বরাদ্দ করা হয়েছিল এবং পরে পুলিশ ছয় কোটি ৭৮ লাখ ১৫ হাজার রুপি পেয়েছে। একইভাবে, ২০২১-২০২২ বাজেটে খাবারের জন্য তিন কোটি ৮৫ লাখ রুপি বরাদ্দ পেয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্টে বক্তৃতাকালে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি রক্ষায় তাদের প্রচেষ্টার জন্য রাজধানীর পুলিশ, রেঞ্জার্স, ফ্রন্টিয়ার কনস্ট্যাবুলারি এবং রাজধানী প্রশাসন এবং অন্যান্য বিভাগের পাশাপাশি ট্রাফিক পুলিশের প্রশংসা করেন।

এদিকে আজাদি মার্চের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ইমরান খান বলেন, দ্রুত আগাম নির্বাচন ঘোষণা না হলে তিনি আবার রাস্তায় নামবেন। আরও বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা জানতে চেয়েছিল, আমি কেন মঞ্চে থাকিনি।

আপনাদের বলি, আমি সেই ব্যক্তি- যে কি-না ১২৬ দিন ধরে অবস্থান নিয়েছিলাম। কিন্তু এ পর্যায়ে আমি বুঝতে পেরেছিলাম, আমি এখানে থাকলে প্রচুর রক্তপাত হবে, আমার নেতা-কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন-এটা আমি চাইনি।’

সূত্র : যুগান্তর
এম এস, ২৮ মে

Back to top button