জাতীয়

বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে পি কে হালদারকে: ইডি

কলকাতা, ১৫ মে – ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গেপ্তার এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারকে (পি কে হালদার) বাংলাদেশে হস্তান্তরের ইঙ্গিত দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত ২০১৬ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় পি কে হালদারকে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ভারতের ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে একথা বলেছেন ইডির কর্মকর্তারা।

ইডির এক কর্মকর্তা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমরা হালদারকে রবিবার আদালতে তুলব। তবে ২০১৬ সালের প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।

বালাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করে ভারতে আত্মগোপন করা পি কে হালদারকে শনিবার পশ্চিমবঙ্গ থেকে গ্রেপ্তার করে ইডি। একই সঙ্গে তার পাঁচ সহযোগীও ধরা পড়েছেন। শিবশঙ্কর নাম নিয়ে পিকে হালদার দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন।

পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মোট ৩৬টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন—দুদক। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান খুলে ব্যাংক ও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি আত্মসাত, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে এই মামলাগুলো করা হয়েছে। এসব মামলায় আসামিদের মধ্যে অভিযুক্ত হিসেবে ডজনখানেক ব্যক্তি গ্রেপ্তার আছেন। যারা কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড এলার্ট জারি করা হয় ২০২১ সালের ৮ জানুয়ারি। রেড এলার্ট জারির ষোল মাস পর তাকে ভারতে দেশটির অর্থ সংক্রান্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনী এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট—ইডির হাতে গ্রেপ্তারের খবর এল। তার সঙ্গে ধরা পড়েছেন পাঁচ সহযোগীও।

বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ও দুদকের অনুরোধে ভারতের ইডি অভিযান পিকে হালদারকে ধরেছে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এদিকে পি কে হালদারকে ভারতে আত্মগোপন এবং মুদ্রাপাচারে কেউ সহযোগিতা করে থাকলে তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী ও হাবরার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেছেন, যার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণ হবে তাকেই গ্রেপ্তার করা হবে। আইন আইনের পথে চলবে।

পি কে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ভোটার কার্ড ও আধার কার্ডসহ বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগ বিষয়ে বনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করার আগে একজন মন্ত্রী হিসেবে আমি মন্তব্য করতে পারি না। এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে তার প্রমাণ আমার কাছে দিন। আমি বিষয়টি দেখব।

সূত্র: ঢাকাটাইমস
এম ইউ/১৫ মে ২০২২

Back to top button