সরিষার আবাদ বাড়িয়ে ভোজ্যতেল আমদানি কমানো হবে
ঢাকা, ১১ মে – কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরিষার আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমাতে কাজ চলছে। আগামী তিন-চার বছরের মধ্যে ভোজ্যতেলের চাহিদার ৪০ ভাগ দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব হবে। বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর দেশে খাদ্য সংকট হবেনা বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইরি) এর এশিয়া প্রতিনিধি নাফিস মিয়ার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৯০ হাজার হেক্টর বেশি জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। হাওরে ৪ লাখ ৫২ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে আগাম বন্যায় প্রায় সাত হাজার হেক্টর জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে সময়মতো বাঁধ রক্ষা, অনুকূল আবহাওয়া ও যন্ত্রের মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে ধান কাটার ফলে এরইমধ্যে হাওরের ধান ঘরে তোলা গেছে।
লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল (স্ট্রেস টলারেন্ট) ধানের জাত উদ্ভাবন ও গবেষণায় বাংলাদেশকে আরও সহযোগিতা করবে ইরি।
বৈঠকে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ভারতের বারানসিতে অবস্থিত ইরি’র দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ে স্থাপিত বিশ্বমানের গবেষণাগারে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা দ্রুত ধানের জাত উদ্ভাবনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে পারবেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে লবণ, খরাসহ বিভিন্ন ঘাতসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবনে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। এরইমধ্যে দেশের বিজ্ঞানীরা উন্নতমানের অনেকগুলো জাত উদ্ভাবন করেছে। তারপরও আরও জাত দরকার। এ বিষয়ে আমরা ইরির সহযোগিতা চাই।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, ইরি’র বাংলাদেশ প্রতিনিধি হোমনাথ ভাণ্ডারি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ১১ মে