ইউরোপ

চুক্তি চাইলে রাশিয়াকে সেনা সরাতে হবে: জেলেনস্কি

কিয়েভ, ০৭ মে – ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, আগ্রাসন চালানোর আগে রুশ সেনারা যেখানে অবস্থান করছিল সেখানে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার ওপর নির্ভর করবে মস্কোর সঙ্গে যে কোনো ধরনের শান্তি চুক্তি।

লন্ডনভিত্তিক একটি থিংক ট্যাংকের সঙ্গে আলাপকালে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। খবর বিবিসির।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, অন্তত এটি নিশ্চিত হলে আমার দেশ তা গ্রহণ করতে পারে।

তিনি বলেন, আমি ইউক্রেনের জনগণের দ্বারা নির্বাচিত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, কোনো ধরনের ছোট ইউক্রেনের নয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

তবে তিনি ক্রিমিয়ার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। যে এলাকা রাশিয়া দখল করে নেয় ২০১৪ সালে।

রাশিয়া এখন মারিওপোলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্য লড়ছে। ওই শহরের আজভস্টল ইস্পাত কারখানায় এখনও ইউক্রেনের সেনারা বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিকসহ আটকে রয়েছে।

শহরটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নিতে পারলে এটি হবে রাশিয়ার জন্য বড় অর্জন, যার মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ৯ মে উদযাপন করার মতো কিছু দেবে।

৯ মে রাশিয়ার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। এদিনকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করে মস্কো। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে জয় পায় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)।

লন্ডনের থিংক ট্যাংক চাথাম হাউসকে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া যে ভূখণ্ড জয় করেছে তা ধরে রাখার প্রশ্নই উঠতে পারে না।

এর আগে বিবিসিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধের জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি যে পরিস্থিতি ছিল তা পুনরুদ্ধারে পদক্ষেপ নিতে হবে।

জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কূটনৈতিক আলাপ শুরুর আহ্বান জানাচ্ছি। তারা আমাদের সবগুলো সেতু ধ্বংস করা সত্ত্বেও, আমি মনে করি না সব সেতু ধ্বংস হয়ে গেছে, বিষয়টি রূপকভাবে বলা।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজকে ৯ মে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানিয়েছি। রাশিয়ার বিজয় দিবস উদযাপনের দিন ইউক্রেনে জর্মানির চ্যান্সেলরের উপস্থিতির প্রতীকী গুরুত্ব অনেক হবে।

তিনি বলেন, তিনি (ওলাফ স্কোলজ) ৯ মে কিয়েভ আসার মাধ্যমে অত্যন্ত শক্তিশালী ও বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিতে পারেন। আমি এর গুরুত্ব ব্যাখ্যা করছি না। কিন্তু আমি মনে করি, এটি বোঝার মতো যোগ্যতা আপনার হয়েছে।

যদিও এর আগে এ যুদ্ধে জার্মানির অবস্থানের সমালোচনা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। প্রায় আড়াই মাস পার হয়েছে, এখনও লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চল পুরোপুরি দখলে নেওয়ার জন্য হামলা অব্যাহত রেখেছে রুশ সেনারা।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৭ মে ২০২২

Back to top button