গাজীপুর

ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করলেন মেম্বার, ভিডিও ভাইরাল

গাজীপুর, ০৮ নভেম্বর- গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক বৃদ্ধাকে (৬২) পেটালেন স্থানীয় জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা।

বৃদ্ধা রেহানা বেগমকে পেটানোর ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। তারপর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে।

এ ব্যাপারে শনিবার রাতে ওই বৃদ্ধার মেয়ে ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

মারধরের শিকার রেহানা বেগম উপজেলার জামালপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের জননী।

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি একেএম মিজানুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বৃদ্ধা রেহানা বেগমকে পেটানোর ভিডিওতে দেখা যায়, সাদা পাঞ্জাবি পরিহিত নাজমুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজনের সঙ্গে বৃদ্ধা ও তার মেয়ে বাড়ির পাশের রাস্তার সীমানায় গাছ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করছেন। একপর্যায়ে বৃদ্ধা গাছ কাটতে বাধা দিতে গেলে তাকে ধরে আছাড় মারেন নাজমুল মেম্বার। পরে মেম্বারের লোকজন ও মেম্বার নিজে বৃদ্ধা মা ও মেয়েকে বেধড়ক কিল-ঘুষি ও লাথি মারেন। তখন মা-মেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কান্নাকাটি করেন।

ভিডিওচিত্রে কাউকে সহযোগিতায় এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। টিনের প্রাচীরের ফাঁক দিয়ে কেউ একজন ৩ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডের পুরো ভিডিওটি ধারণ করেন।

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ওই নারী তাদের পুরনো বাড়ির জমিতে একটি গাছ লাগিয়েছেন। যে রাস্তা দিয়ে লোকজন আসা-যাওয়া করতেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে আমি ও আমার বাবা ওই গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করে দিতে বলি। পরে ওই বৃদ্ধা আমার বৃদ্ধ বাবাকে মারতে আসে। এ সময় আমি বাধা দেই এবং ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেই। আমার বাবাকে মারতে গেলে আমি কি বসে থাকব?

বৃদ্ধাকে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল হওয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, আমার বিপক্ষের কিছু রাজনৈতিক নেতার ইন্ধনে এসব হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে গোপন ক্যামেরায় ওই ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করেছে প্রতিপক্ষ।

এ ব্যাপারে জামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান ফারুক মাস্টার বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে রোববার সকালে পরিষদের অন্য মেম্বারদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আশ্বস্ত করি। তবে এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, যা মোটেই ঠিক হয়নি।

সূত্র: যুগান্তর
আডি/ ০৮ নভেম্বর

Back to top button