জাতীয়

ঈদের দ্বিতীয় দিন সড়কে ঝরেছে ২১ প্রাণ

ঢাকা, ০৫ মে – ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। সেই খুশি ম্লান হয়ে গেল ঈদের দ্বিতীয় দিন। বুধবার (৪ মে) রংপুরসহ ১১ জেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে গেল ২১ জনের প্রাণ। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১২ জন।

রংপুর

রংপুরের তারাগঞ্জে মাইক্রোবাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হন আরও তিন নারী। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের সলেয়াশাহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হতাহতরা সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে। এদের মধ্যে একজন তারাগঞ্জের আমজাদ হোসেন, আরেক জনের নাম নাজমা বেগম। তবে তার এলাকা নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত ৩ জনের মরদেহ ও দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন উদ্ধার করেছে।

তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব মোরশেদ জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন আরও দুজন মারা যান।

পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। বিকেলে সদর উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের মডেলহাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের খালপাড়া জিয়াবাড়ি এলাকার পয়কাম ইসলামের ছেলে নতুন (১৮), তারেক বিল্লালের ছেলে শিশির (১৬), আব্বাস আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দীক (১৮)।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সিদ্দীক, নতুন ও শিশির মোটরসাইকেলে মডেলহাট বাজার থেকে মহারাজা দিঘীতে বেড়াতে যাওয়ার সময় অপরদিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেলের ৩ আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের দ্রুত উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রুকসানা তাদের তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাদারীপুর

মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ভ্যানের তিনযাত্রী নিহত হয়েছেন। রাত ৮টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর উপজেলার সানেরপাড়ে বটতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় বরিশাল থেকে আরিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফরিদপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। বাসটি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সানেরপাড় বটতলা এলাকায় আসলে সামনে থেকে আসা একটি ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ভ্যানের তিনযাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

রাজৈর থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, দুর্ঘটনার পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি থানা পুলিশ কাজ করছে। বাসের চালক ও সহকারী পালিয়ে গেলেও তাদের আটকের জন্য অভিযান চালানো হবে।

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বাস উল্টে দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। সকাল পৌনে ১০টায় উপজেলার কমলদহ এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার হুমায়ন কবিরের ছেলে মো. ফয়সল (১৯) ও চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার মুজাফফরাবাদ গ্রামের স্বপন আচার্যের ছেলে শান্ত আচার্য (২৩)।

চট্টগ্রাম হাইওয়ে পুলিশের কুমিরা ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. জাকির হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান, স্বাধীন বাংলা পরিবহনের বাসটি চট্টগ্রাম থেকে লক্ষ্মীপুর যাচ্ছিল। বাসটির চালক ঢাকামুখী লেন ধরে বেপরোয়া গতিয়ে চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে বাসটি সড়কের পাশে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন। আহত হন পাঁচজন। তাদের মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি চারজন স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এএসআই জাকির আরও জানান, এ ঘটনায় ঘতক বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে যাত্রীবাহী একটি বাসচাপায় জাহানারা বেগম (৩৮) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কোট্টাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জাহানারা উপজেলার ইসলামাবাদ এলাকার রজব আলীর স্ত্রী।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে সিলেট থেকে ঢাকাগামী তাপসিয়া পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সাগরিকা পরিবহনের একটি বাসকে সাইড দেয়ার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়া ওই নারীকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ সময় সাগরিকা পরিবহনের বাসটিও মহাসড়কের পাশে ছিটকে পড়ে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা জাহানারাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাব্বির আহমেদ জানান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়। পরিবারের লোকজন মরদেহ নিয়ে গেছেন।

যশোর

যশোরের চৌগাছার ইলিশমারী ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার মদনপুর সীমানায় বিদ্যুতের খুঁটিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শাহিনুর রহমান (২২) ও সাগর হোসেন (১৮) নামে দুই তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত শাহিনুর ও সাগর যশোরের চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের হাজরাখানা গ্রামের সাহেব আলী ও বাবর আলীর ছেলে। স্থানীয়রা জানান, তারা অতিরিক্ত গতিতে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিল। এ সময় তাদের কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।

বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটনাস্থলেই একজন এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে অন্যজনের মৃত্যু হয়।

নারায়ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহিনুর রহমান বলেন, শাহিনুর ও সাগর একটি মোটরসাইকেলে (ঝিনাইদহ -ল-১২-০৫৩৭) করে হাজরাখানা গ্রাম থেকে মহেশপুর উপজেলার বিদ্যাধরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চৌগাছার ইলিশমারী ঈদগাহপাড়া ও মহেশপুরের মদনপুর মোড়ে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মেরে দিলে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের চালক শাহিনের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে মোটরসাইকেলের আরোহী সাগরের মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের ডা. উত্তম কুমার বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, শুনেছি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারা গেছে। তবে সেটি মহেশপুর থানার ভেতরে।

জানতে চাইলে মহেশপুর থানার ওসি মো. সেলিম মিয়া বলেন, ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়। কিন্তু তারা কোনো প্রকার তথ্য দেননি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত্যুর ঘটনা চৌগাছা থানার ভেতরে, সে কারণে মহেশপুরে মরদেহ নিয়ে যাওয়া বা দুর্ঘটনার তথ্য তারা চৌগাছা থানায় জানাবে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, মরদেহ চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে।

নোয়াখালী

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে চালক রুহুল আমিন (৫৫) নিহত হয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে পণ্ডিতেরহাট বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রুহুল আমিন চরজব্বার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড শেখ রাসেল নগরের বাসিন্দা।

নিহতের ছেলে আবুল কালাম বলেন, সকালে রুহুল আমিন (তার বাবা) অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে চরজুবলী ইউপির পণ্ডিতেরহাট যায়। দুপুরে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে বাজার এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাটি উল্টে সড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।

পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। চরজব্বার থানার ওসি মো. জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জয়পুরহাট

জয়পুরহাটে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় মিতু আক্তার (২৬) নামে এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার মাস্টারপাড়া এলাকায় ধারকী-হিচমী সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মিতু সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের ভিডিও ব্যবসায়ী আবু হাসানের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে বানিয়াপাড়া শ্বশুর বাড়ি থেকে মা, ভাই, ভাবিসহ পাঁচজনকে নিয়ে একটি অটোরিকশায় বাবার বাড়ি পাঁচবিবি উপজেলায় রওনা দেন গৃহবধূ মিতু।

পথে ধারকী-হিচমী সড়কের মাস্টারপাড়া এলাকায় এলে অটোরিকশা থেকে পড়ে যান মিতু। এ সময় সামনের দিক থেকে আসা আরেকটি অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিলে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করলে কিছুক্ষণ পরই মিতুর মৃত্যু হয়।

জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর জাহান জানান, কোনো ধরনের অভিযোগ না থাকায় মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর কালুখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি পিকআপভ্যান উল্টে শাওন শেখ (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সূর্যদিয়া এলাকায় ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শাওন রাজবাড়ী পৌর শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা দারোগ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাওন পিকআপভ্যানে রাজবাড়ী থেকে পাংশার দিকে যাচ্ছিলেন। কালুখালী ফায়ার সার্ভিস এলাকায় পৌঁছানোর পর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। পিকআপভ্যান থেকে শাওন ছিটকে পড়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, পিকআপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কক্সবাজার

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস উল্টে শারমিন আক্তার রিমা (২৩) নামে এক নারী পর্যটক নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন পাঁচজন। সকালে উজেলার লক্ষ্যারচর এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এন শামীম পরিবহন নামের বাসটি উল্টে সড়ক থেকে খাদে পড়ে দুমড়েমুচড়ে যায়।

চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারমুখী এন শামীম পরিবহনের বাসটি ঘটনাস্থলে এসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। বাসের ছাদ ও বডি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থলেই এক নারী নিহত হন। আহত হয়েছেন পাঁচজন।

পাবনা

পাবনার সুজানগরে দুই বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে বেড়াতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় এক শিশু নিহত হয়। এ সময় মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই ভাই গুরুতর আহত হন। দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার কুড়িপাড়া বাজার সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত তিহাম (১১) রাইপুর গার্লস স্কুলের শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুজানগর উপজেলার রাইপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সুজানগর বাজারের উদ্দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে রওনা হয় তিন চাচাতো ভাই সিফাত, তিহাম ও তাহা। পথে কুড়িপাড়া বাজারে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনাস্থলেই তিহাম মারা যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় সিফাত ও তাহাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সুজানগর থানার ওসি আবদুল হান্নান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত তিহামের মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।

সূত্র : সময় নিউজ
এম এস, ০৫ মে

Back to top button