ঈদের আগে-পরে ৬ দিন ফেরিতে ট্রাক পারাপার বন্ধ
রাজবাড়ী, ১৮ এপ্রিল – দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার লাখ লাখ মানুষের ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের নাম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুট। তবে এবার দুর্ভোগ কমাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসন ও ফেরি কর্তৃপক্ষ। আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগের ও পরের তিন দিন ফেরিতে ট্রাক পারাপার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও যাত্রীদের যাতায়াত নির্বঘ্ন করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সোমাবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়। এবার ঈদে এই রুটে ফেরি সংখ্যাও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আসন্ন ঈদে তিনটি ফেরি বাড়িয়ে এই রুটে ২১টি ফেরি চলাচল করবে। এর সঙ্গে যাত্রী পারাপারের জন্য থাকবে ৩৩ লঞ্চ এবং ৭০ স্পিড বোট।
এ ছাড়াও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সাতটি ঘাটের মধ্যে চারটি চালু আছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। চুরি-ছিনতাইয়ের কবল থেকে যাত্রীদের রক্ষা করতে ঘাটগুলোতে পর্যাপ্ত লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সুভিধার জন্য সকল ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সভায়।
জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) সালাহউদ্দিন, গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুল হক, গোয়ালন্দ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম মন্ডল, রাজবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল আমিন, রাজবাড়ী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিম রহমান বিশ্বাস, এনএসআইয়ের ডিডি শরীফুল ইসলাম, গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি স্বপন কুমার মজুমদার, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মুরাদ হাসান, পোট অ্যান্ড ট্রাফিক অফিসার মো. শাহ্ আলম মিয়া, বিআইডব্লিটিএর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক, উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন, লঞ্চ মালিক ও লঞ্চ ব্যবসা পরিচালক মো. আরিফ, দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের সুপার ভাইজার মোহাম্মদ আলী মোল্লা, রাজবাড়ী জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান হাসান, বিআইডব্লিটিসির ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) প্রফুল্ল চৌহান, রাজবাড়ী এলজিইডিরসহ প্রকৌশলী পূনেন্দু সাহাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা-সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র : কালের কণ্ঠ
এম এস, ১৮ এপ্রিল