গাজীপুরে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা নেওয়ার অপরাধে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার
গাজীপুর, ১৬ এপ্রিল – মামলার ভয় দেখিয়ে মোটরসাইকেলসহ দুই বন্ধুকে আটকে রেখে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম শাহদাৎ হোসেন। তিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে কর্মরত আছেন। এ সময় তার দুই সহযোগী কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান ঘটনাস্থলে ছিলেন।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন উপ-পুলিশ( অপরাধ) কমিশনার জাকির হাসান।
প্রত্যাহারকৃতরা হলেন, গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহদত হোসেন, কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমান।
জানা গেছে, দুই বন্ধু গত বৃহস্পতিবার একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যান গাজীপুরের মোল্লাপাড়া এলাকায়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাত ৯টার দিকে তিন পুলিশ সদস্য তাদের গতিরোধ করেন। পরে তাদের মামলার ভয় দেখিয়ে ১২ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
ওই দুই বন্ধু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন নামের দুই বন্ধু একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে গাজীপুরের মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পাশে পৌঁছালে বাসন থাকার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহদত হোসেন, কনস্টেবল নোমান ও মিন্টু তাদের গতিরোধ করেন। পরে তারা মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের শরীর তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ভীতি দেখান।
দুই কনস্টেবল তাদের পকেটে তল্লাশি করে দুই জনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেন এবং তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে আরও টাকা আনতে বলেন। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা সেখানে ছুটে যান। পরে পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে আরও ৬ হাজার টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আলফাজ ও মনির জানান, দুই মাসের নতুন একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যান তারা। মোটরসাইকেল ক্রয়ের রশিদও তাদের সঙ্গে ছিলো। সেটি দেখালেও পুলিশ নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। পরে ১২ হাজার ৮০০ টাকা দিলে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সূত্র : আরটিভি
এম এস, ১৬ এপ্রিল