ফুটবল

অ্যাটলেটিকো-সিটির মাঠের উত্তাপ ছড়াল টানেলে, পুলিশের হস্তক্ষেপ

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে উঠে গেল ম্যানচেস্টার সিটি। রিয়াল মাদ্রিদকে পেয়েছে তারা প্রতিপক্ষ হিসেবে। কিন্তু কয়েকদিন পর এফএ কাপ সেমিফাইনালে লিভারপুলের মুখোমুখি হওয়ার আগে ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় চড়া মূল্যই হয়তো দিতে হলো পেপ গার্দিওলার দলকে।

স্পেনে যা ঘটে গেল, তা স্বাভাবিকভাবে মনের ওপর ছাপ ফেললেও ফেলতে পারে সিটিজেন খেলোয়াড়দের মনে। পাড়ার ফুটবলের মতো দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতি, চুল টানাটানি দেখল ফুটবলমোদীরা। মাঠে এক দফা উত্তাপ ছড়ানোর পর তা টানেলেও ছড়ায়। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। ম্যাচে দুই দলের খেলোয়াড়দের মোট ৯ বার হলুদ কার্ড দেখানো হয়। এর মধ্যে ফিলিপকে দুইবার, ফাউল হয়েছে ১৫টি।

চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৯১তম মিনিটে শুরু হয় উত্তেজনা। যার সূত্রপাত ফিল ফডেনকে চ্যালেঞ্জ করে অ্যাটলেটিকো ডিফেন্ডার ফিলিপ লাল কার্ড দেখার পর। টাচলাইনে দুই দলের হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি ম্যাচ উত্তপ্ত করে তুলেছিল। স্টেফান সাভিচ টাচলাইনে পড়ে থাকা ফডেনকে টেনে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়ার পরই তেড়েফুঁড়ে আসে দুই দলের খেলোয়াড়রা। জ্যাক গ্রিলিসের চুলও টেনে ধরেন সাভিচ। মিনিট পাঁচেক লেগেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের শান্ত হতে। কিন্তু ওখানেই শেষ নয়। শেষ বাঁশি বাজার পরও একচোট যুদ্ধ হয়েছে টানেলে।

টিভিতে ইমেজে দেখা গেছে, টানেলে জ্যাক গ্রিলিশের সঙ্গে স্টেফান সাভিচ তর্কাতর্কি করছেন। ক্ষুব্ধ সিমে ভ্রালিজকোকে সংযত করছেন অ্যাটলেটিকোর কোচিং স্টাফরা। আর কাইল ওয়াকারকে ধরে রেখেছেন গোলকিপার এডারসন। কিছুক্ষণ পরই পুলিশ কর্মকর্তারা টানেলে ঢুকে তাদের থামান।

লাল কার্ড ও হাতাহাতি নিয়ে অ্যাটলেটিকো অধিনায়ক কোকে খুব একটা উদ্বিগ্ন নয়। তার মতে সময় নষ্ট করছিল প্রথম লেগ শেষে ১-০ তে এগিয়ে থাকা ম্যানসিটি, ‘খেলা আপনাকে এরকম পাগল বানিয়ে দিতে পারে, যখন আপনি তাদের চাপে রাখছেন এবং সুযোগ তৈরি করছেন, কিন্তু তারা সময় নষ্ট করছে। এটাই ফুটবল। এজন্য আমরা প্রায় সময় সমালোচিত হই, দেখা যাক আজকের ঘটনায় লোকেরা কী বলে।’

স্বাগতিক দলের গোলকিপার জ্যান ওবলাক বললেন, ‘এরকম উত্তেজনাপূর্ণ খেলায় এমনটা ঘটে। বেঞ্চ থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে আসা, স্নায়ুর লড়াই, ধাক্কা দেওয়া ও বাজে ভাষায় কথা বলা স্বাভাবিক। এটা সিটির জন্য ভালোই হয়েছে, কিছু সময় নষ্ট করতে পেরেছে।’

সময় নষ্ট করার দাবি প্রত্যাখ্যান করলেন সিটি ডিফেন্ডার আইমেরিক লাপোর্তা, ‘কারা সময় নষ্ট করছিল? তাদের দল, অযৌক্তিকভাবে মারামারি করে। আমরা জানি তারা এমনই করে সবসময়। মারামারি সবসময় কুৎসিত। আমি মনে করি এটা তাদের জন্য ভালো হয়নি কারণ তারা খেলায় তাদের সেরা মুহূর্তে ছিল।’

পেপ গার্দিওলা সময় নষ্ট করার ব্যাপারে প্রশ্নের উত্তর দিতে চাননি।

এদিকে টানেলে কী ঘটেছে তা দেখেননি বলে জানান ওবলাক ও কোচ ডিয়েগো সিমিওনে। অ্যাটলেটিকোর আর্জেন্টাইন কোচ বললেন, ‘আমি দেখিনি কিছু। খেলোয়াড়দের সঙ্গে ছিলাম, ভক্তদের প্রতি ধন্যবাদ জানাচ্ছিলাম। যখন সিঁড়িতে (টানেলে) যাই, তখন কেউ ছিল না সেখানে।’

সূত্র : রাইজিংবিডি
এম এস, ১৪ এপ্রিল

Back to top button