দক্ষিণ আফ্রিকা

অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকায় ৩ বাংলাদেশি খুন

কেপটাউন, ০৭ নভেম্বর- প্রবাসী বাংলাদেশি খুনের ঘটনা ঘটেই চলছে একের পর এক। আর এর পরিমাণটা দক্ষিণ আফ্রিকাতে যেন একটু বেশিই। চলতি বছরের অক্টোবরে দেশটিতে তিন বাংলাদেশি খুন হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরো একজন। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

তিনজনের মৃতের খবর অনুসন্ধান করে জানা গেছে, প্রথম জনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে। দ্বিতীয়জনকে হত্যা করা হয়েছে গুলি করে। তাদের দুইজনকে হত্যা করেছে ডাকাতদল। এবং সর্বশেষ তৃতীয়জনকে বালিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে পূর্ব শত্রুতার জেরে।

অক্টোবরের প্রথম দিন (বৃহস্পতিবার) প্রিটোরিয়ার নিকটবর্তী থ্যাম্বিসা লোকেশনে রাত ৩টায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র কৃষাঙ্গ ডাকাত দল দোকানের দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে চাইলে দোকান মালিক গনি মিয়াসহ তার কর্মচারীরা বাঁধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ডাকত দল গনি মিয়াকে লক্ষ্য কয়েক রাউন্ড গুলি করলে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। গনি মিয়ার বাড়ি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার জগৎপুর গ্রামে।

২০ অক্টোবর কেপটাউন থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে সি পয়েন্ট বালি চাপা দেয়া আবস্থায় আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করে দেশটির পুলিশ। বাংলাদেশিরা ধারণা করছে, ব্যবসায়িক শত্রুতার জেরে আল আমিনকে খুন করে লাশ গুম করতে চেয়ে ছিল তার আগের পার্টনার সুজন। আল আমিনের বাড়ি ঢাকার কেরানীগঞ্জে।

সর্বশেষ ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় দেশটির পুমালাঙ্গা প্রদেশের এয়ারমেলো নামক এলাকায় সংঘবদ্ধ সশস্ত্র কৃষাঙ্গ ডাকাত দল বাংলাদেশি প্রবাসীর দোকানে হানা দিয়ে জিনিসপত্র লুট করে চলে যাওয়ার সময় এক ডাকাতকে পেছন থেকে ধরার চেষ্টা করে দোকান মালিক আরিফ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার কালিকাপুরে।

এছাড়াও ২২ অক্টোবর রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইস্টার্ন কেপ প্রদেশের পোর্ট এলিজাবেথ শহরের নর্দান এরিয়ার নামক জায়গায় সশস্ত্র ডাকাত দল বাংলাদেশি ব্যবসায়ী দোকানে হানা দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে দোকান মালিক রাসেল গুলিবিদ্ধ হন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সূত্রঃ বাংলাদেশ জার্নাল
আডি/ ০৭ নভেম্বর

Back to top button