জাতীয়

দুষণমুক্ত নির্বাচন দরকার: ফখরুল

ঢাকা, ০৭ এপ্রিল – মানুষদের বাঁচাতে দুষণমুক্ত একটা নির্বাচন দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল পূর্বানীতে বিএনপির উদ্যোগে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ বর্তমান প্রেক্ষাপট: কোনো প্রতিকার নেই, দূষণ বেড়েই চলেছে, দেশের মানুষ বেঁচে আছে অসহায় অবস্থায়’শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিছুক্ষন আগে আমাদের স্থায়ী সদস্য বলেছেন, বিবেক দুষণ। বিবেক তখনই দুষিত হবে যখন পুরো রাষ্ট্র দুষিত হয়ে যায়, পুরো প্রশাসন দুষিত হয়ে যায়, সব কিছু দুষিত হয়ে যায়। আজকে আমাদের মানুষদের বাঁচাতে হলে, বিবেকে দুষিত না করতে হলে এই পৃথিবী বা প্ল্যানেটকে রক্ষা করতে হলে আমাদের যেটা দরকার সত্যিকার অর্থেই জনদরদী, জনগণের প্রতিনিধিমূলক একটা সরকার দরকার এবং জনগণের প্রতিনিধিত্বমূলক পার্লামেন্ট দরকার।

‘সেজন্য সবার আগে দুষণমুক্ত একটা নির্বাচন দরকার। দুষণমুক্ত নির্বাচন করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন হতে হবে, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং সেই নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে একটা জবাবদিহিমূলক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে হবে, তার মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আসুন আমরা সেই লক্ষ্যে সবাই আমাদের নিজের বাঁচার জন্য, আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য, আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের জন্য আমরা ঐক্যবদ্ধ হই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগ এখন টিকে আছে শুধুমাত্র এই সমস্ত অপকর্ম করে এবং বিদেশীদের কাছে গিয়ে বাঁচতে চায়। একদিকে সেনশন পড়েছে, অন্যদিকে বিভিন্ন রকম যে অপকর্ম করেছে সেগুলো প্রকাশ হয়ে পড়েছে বিশ্ববাসীর কাছে। সেই কারণে আজকে তারা এভাবে ধর্ণা দিচ্ছে বিদেশীদের কাছে।

তিনি বলেন, আজকে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একেবারে ভেঙে গেছে, ভঙ্গুর হয়ে গেছে। আমরা সেটা লক্ষ্য করেছি, করোনা সংক্রমণ যখন আসলো সেই সময়ে আমরা দেখলাম আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বংস হওয়ার বিষয়টি।

বিএনপি মহাসচিবের সভাপতিত্বে সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বক্তব্য রাখেন।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ০৭ এপ্রিল

Back to top button