উত্তর আমেরিকা

নিষেধাজ্ঞার পরই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ওয়াশিংটন, ০৬ এপ্রিল – ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর পরিপ্রেক্ষিতে অনেক আগেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে রাশিয়ার তেল, গ্যাস তথা জ্বালনির উপর থেকে নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করছে ইউরোপ। তবে ইউরোপীয় মিত্রদের এমন চাপের বিপরীতে অবস্থান করে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার এক ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি রুশ সংবাদমাধ্যম।

রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপসচিব মিখাইল পোপভের বরাত দিয়ে চীনের দৈনিক গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র শুধু রাশিয়া থেকে তেল আমদানি করছে না। বরং গত সপ্তাহে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেলের আমদানি ৪৩ শতাংশ বা প্রতিদিন ১ লাখ ব্যারেল বাড়িয়েছে তারা।

সমালোচকদের ইঙ্গিত করে এই রুশ কর্মকর্তা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তার ইউরোপীয় মিত্রদের তোয়াক্কা না করেই নিজেদের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত। আর যুক্তরাষ্ট্র যে এমন চমক দেবে, সেটা ইউরোপের আগেই বোঝা উচিত ছিল।

তিনি আরও বলেন, শুধু তেল নয়, জরুরি পণ্য হিসেবে অনুমোদন দিয়ে রাশিয়া থেকে খনিজ সার আমদানি করতে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে অনুমতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশের পর থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেছে রাশিয়ান বাহিনী। ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলো মস্কোর ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দেয়। অর্থনীতির চালিকা শক্তি দেশটির জ্বালানি তেলে নিষেধাজ্ঞার কথাও ভাবে পশ্চিমা দেশগুলো।

রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য উভয়ের কাছ থেকেই চাপের সম্মুখীন হচ্ছে ইউরোপ। কিন্তু রাশিয়ার তেল-গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতার কারণে ইউরোপের পক্ষে সেটা সম্ভব হয়নি।

সূত্র: সমকাল
এম ইউ/০৬ এপ্রিল ২০২২

Back to top button