জাতীয়

টিপু-প্রীতি হত্যার অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ গ্রেপ্তার ৪

ঢাকা, ০২ এপ্রিল – রাজধানীর শাহজাহানপুরে আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যাকাণ্ডের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড এবং টিপুকে অনুসরণকারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। শুক্রবার রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

শুক্রবার রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান।

তিনি বলেন, শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী প্রীতি হত্যার ঘটনায় অন্যতম মাস্টারমাইন্ডসহ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ইমরান খান বলেন, এ বিষয়ে শনিবার বেলা ১১ টায় কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

এদিকে গত রোববার টিপু ও সামিয়া হত্যার ঘটনায় শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগ।

সর্বশেষ আগে টিপু হত্যায় আরফান উল্লাহ দামাল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছে থেকে একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

ডিবি সূত্র জানায়, ঢাকার মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে টিপু হত্যার আগে আরফান উল্লাহ দামালসহ কয়েকজন কমলাপুর রেলওয়ে স্কুল অ্যান্ড কলেজের পেছনে রূপালী সমাজ উন্নয়ন সংস্থায় একটি বৈঠক করেছিলো।

দামালকে অস্ত্রসহ আটকের পর তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় অস্ত্র মামলা হচ্ছে। পরে রিমান্ডে এনে টিপু হত্যায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রটিও পরীক্ষা করা হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দামাল স্থানীয় যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত। হত্যার আগে দামালসহ শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একাধিক গ্রুপের বৈঠক হয়েছিলো। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের মূল কিলার মাসুম মোহাম্মদ আকাশকে রিমান্ডে নেয়ার পর চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। রিমান্ডে থাকা আকাশের দেয়া তথ্যে এরই মধ্যে হত্যাকাণ্ডের কারণ ও মাস্টারমাইন্ডের নাম পাওয়া গেছে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে জাহিদুল মাইক্রোবাসে করে শাহজাহানপুর আমতলা কাঁচাবাজার হয়ে বাসায় ফিরছিলেন। শাহজাহানপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে পৌঁছালে হেলমেট পরা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে জাহিদুল ও তার গাড়িচালক মুন্না গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় জাহিদুলের গাড়ির পাশ দিয়ে রিকশায় যাচ্ছিলেন বদরুন্নেসা কলেজের ছাত্রী প্রীতি। তিনিও গুলিবিদ্ধ হন। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাহিদুল ও প্রীতিকে মৃত ঘোষণা করেন।

গুলিবিদ্ধ গাড়িচালক মুন্না ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে বাসায় আছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নিহত জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি বাদী হয়ে শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮।

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এম এস, ০২ এপ্রিল

Back to top button