ক্রিকেট

প্রোটিয়া বধে তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে নামতে চায় বাংলাদেশ

কেপ টাউন, ২৭ মার্চ – মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিল বাংলাদেশ। অথচ এর আগে কখনো কিউইদের মাটিতে সাফল্য ছিল না। এবার সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের মাটিতেও টেস্টে সাফল্য নেই। সব ভরাডুবির গল্প। অধরা সাফল্যের দেখা পেতে বাংলাদেশ নামতে চায় তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে।

শনিবার (২৬ মার্চ) গণামাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি বলেছেন, ‘উইকেট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারব। তবে আমি মনে করি, আমাদের পেসাররা যেভাবে বল করছে, তিন পেসার ও এক স্পিনার নিয়ে আমরা ভালো করতে পারব।’

বিদেশের মাটিতে পেসারদের সাফল্য দেখেই উদ্বেলিত সুজন। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের নায়ক এবাদত দ্বিতীয় ইনিংসে একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। আর প্রোটিয়াদের মাটিতে তাসকিন আহমেদের সাফল্য তো স্মৃতিতে এখনো তরতাজা। আরেক পেসার শরিফুল ইসলাম নিয়মিত পারফর্ম করে দলের জয়ে রাখছেন অবদান। বাংলাদেশ একাদশ সাজাতে পারে এই তিন পেসারকে নিয়েই। সঙ্গে স্পিনার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ।

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের ভাবনা রেখে একাদাশ সাজানো হবে বলে জানিয়েছেন সুজন। তবে আরেকজন বাড়তি বোলার খেলানোর সম্ভাবনার কথাও বললেন সুজন। ‘নিজের দুর্গ ঠিক রেখে শত্রুকে আক্রমণ করতে হবে। এখনও কম্বিনেশন ঠিক করিনি। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের ভাবনা তো আছেই। সাথে আরেকজন বোলার যুক্ত করা যায় কি না, সেই ভাবনাও আছে।’

‘হয়ত ব্যাটিং একটু দুর্বল হবে। যেকোনো টেস্ট দলের প্রথম ব্যাটারদের গড় ৪০ এরও বেশি। আমাদের যখন এরকম হবে, তখন হয়ত এই সাহসগুলো আরও বেশি দেখাতে পারব। এখন হয়ত একটু কঠিন হবে,’ আরও যোগ করেন সুজন।

ডারববানে স্পিনাররা ভালো করলেও তেমনটা ভাবছেন না সুজন। তিনি বলেন, ‘উইকেট দেখে বুঝতে পারব। যদি প্রয়োজন হয় বাড়তি একজন স্পিনার নিয়ে খেলব। উইকেটের চাহিদা অনুযায়ীই হবে। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে, পুরো দলকেই ভালো খেলতে হবে। একা ভালো খেললে হবে না। সবাই তাদের কাজ ঠিকমতো করলে সহজ হয়ে যাবে। ওয়ানডেতে তা-ই ছিল।’

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ২৭ মার্চ

Back to top button