মধ্যপ্রাচ্য

ইউরোপে আরও জ্বালানি সরবরাহে আগ্রহী কাতার

দোহা, ২১ মার্চ – ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বিশ্বে তেলের বাজার অস্থিতিশীল। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোকে তেল ও গ্যাসের জন্য ভিন্ন উৎসের সন্ধান করতে হচ্ছে।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার ওপর তেল ও গ্যাসের নির্ভরতা কমানোর জন্য ইউরোপের অনেক প্রতিষ্ঠান জরুরিভাবে বিকল্প খুঁজে বেড়াচ্ছে। কাতার বলছে, ভবিষ্যতে ইউরোপে আরও গ্যাস পাঠাতে পারবে তারা।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ঘটনায় গ্যাস রপ্তানিকারক দেশ কাতারের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

কাতার বলেছে, তারা রাশিয়া ও ইউক্রেন ইস্যুতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকবে। তবে পশ্চিমা মিত্রদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়ার বিষয়টিও তাদের প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছে।

রোববার কাতার সফরে এসেছেন জার্মানির অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী রবার্ট হ্যাবেক। তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। তাদের বৈঠকে জ্বালানি খাত ছাড়াও দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দ্রুত তেল উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানানো হলে তারা এ ক্ষেত্রে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে।

অন্যদিকে, কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল-থানি গত সোমবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। তারা ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। দোহা ইরানের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে ভূমিকা রাখছে।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
এম ইউ/২১ মার্চ ২০২২

Back to top button