ইরানের বিপ্লবী গার্ডকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ওয়াশিংটন, ১৭ মার্চ – ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডকে (আইআরজিসি) বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠনের (এফটিও) তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। বর্তমানে ইরান ও পশ্চিমা বিশ্ব পারমাণবিক চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এর মধ্যেই এমন গুঞ্জন সামনে এলো। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা কমিয়ে আনার শর্তে ইরানের সামরিক এই বাহিনীকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি ওয়াশিংটন।
২০১৯ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের এই এলিট বাহিনীকে কালোতালিকাভুক্ত করেন। এবার ট্রাম্পের ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার চিন্তাভাবনা করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এ বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের মধ্যে (ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের) এখনো কোনো চুক্তি হয়নি। আলোচনার জন্য ইসরায়েলসহ আমাদের মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শ করে যাচ্ছি।
ইরানকে ২০১৫ এর জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (জেসিপিওএ) বা পারমাণবিক কর্মসূচী চুক্তিতে ফিরিয়ে আনতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় আলোচনা চলছে। ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান উভয়ই এই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ব্যাপারে ওই কর্মকর্তা বলেন, চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোত্তম নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এখনো আলোচনার মধ্যে রয়েছে। সুতরাং এ নিয়ে এখনই কোনো অনুমান বা মন্তব্য করা যাবে না।
সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট দলের ১১ জনসহ নিম্নকক্ষের ২১ জন সদস্য ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি ও আইআরজিসিকে কালোতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে বাইডেনকে একটি চিঠি দিয়েছেন।
এদিকে,হাউস ইন্টেলিজেন্স কমিটির র্যাঙ্কিং সদস্য ওহাইও রাজ্যের প্রতিনিধি মাইক টার্নারও ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
ইরানের ন্যাশনাল কাউন্সিল অফ রেজিস্ট্যান্স (এনসিআরআই) গত সপ্তাহে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই ধরনের পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে এই অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ ও বিশৃঙ্খলা বাড়াবে।
সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/ ১৭ মার্চ ২০২২