ক্রিকেট

‘মহাসড়ক’ রাওয়ালপিন্ডি পেলো ডিমেরিট পয়েন্ট

ইসলামাবাদ, ১১ মার্চ – ১১৮৭ রান, ১৪ উইকেট- ছোট্ট এই পরিসংখ্যানটি তিন দিন আগে রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শেষ হওয়া পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার কাদির-বেনো সিরিজের প্রথম টেস্টের। যেখানে পাঁচদিন মিলে উইকেট পড়েছে মাত্র ১৪টি, সেঞ্চুরি-হাফসেঞ্চুরি সমান ৪টি করে।

এমন ‘মহাসড়ক’ উইকেটে ব্যাটারদের উইকেট নিতে উঠেছে বোলারদের নাভিশ্বাস। অতিরিক্ত ব্যাটিংবান্দগব হওয়ায় ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই এই পিচের ডিমেরিট পয়েন্ট পাওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। অবশেষে সেটিই সত্যি প্রমাণিত হলো।

রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের ম্যাচ রেফারির দায়িত্বে থাকা রঞ্জন মাধুগালে এই পিচ সম্পর্কে নিজের প্রতিবেদনে এই পিচকে ‘গড়পড়তা’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘ব্যাটে-বলে ভারসাম্যপূর্ণ লড়াইয়ের পিচ নয় এটি। পাঁচ দিনেও পিচের বিন্দুমাত্র কোনো পরিবর্তন হয়নি। পেসার, স্পিনার- কেউই কোনো সুবিধা পায়নি।’

আইসিসি পিচ এন্ড আউটফিল্ড মনিটরিং প্রসেসের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো পিচ গড়পড়তা রেটিং পেলে সেই ভেন্যুর সঙ্গে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পাবে। পিচ বাজে হলে তিন এবং খেলার অনুপযুক্ত হলে ভেন্যু পাবে পাঁচটি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হবে।

যেহেতু রাওয়ালপিন্ডির পিচ গড়পড়তা রেটিং পেয়েছে, সেজন্য একটি ডেমেরিট পয়েন্ট স্টেডিয়ামের নামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে।

রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের পিচের সমালোচনা হয়েছে ম্যাচ চলাকালীন সময়েই। সদ্য অবসর নেওয়া পাকিস্তানি অলরাউন্ডার মোহম্মদ হাফিজ ও অসি ব্যাটার স্টিভ স্মিথ তখনই একে ‘মরা উইকেট’ আখ্যা দেন। অসি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সও পাকিস্তানের এমন কাজে নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

পিসিবি প্রধান রমিজ রাজা পিচের পক্ষে কথা বলেছেন ঠিকই। তবে রমিজের কথা ধোপে টেকেনি। পিসিবি প্রধানকে বরং দানিশ কানেরিয়া, শহিদ আফ্রিদি, সালমান বাটদের থেকে ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ১১ মার্চ

Back to top button