ক্রিকেট

বৃষ্টির মধ্যে খেলা চালানোয় ক্ষোভ প্রকাশ জ্যোতির

ডানেডিন, ০৭ মার্চ – টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতা, অভিষেক ওয়ানডে বিশ্বকাপের শুরুর দুই ম্যাচে পরাজয়। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে হারের পর আজ (৭ মার্চ) স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাত্তা না পাওয়া। তবে এসব ছাপিয়ে কিউইদের বিপক্ষে ম্যাচশেষের সংবাদ সম্মেলনে বৃষ্টির মধ্যে খেলা চালানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

ডানেডিনে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৯ উইকেটের বড় পরাজয় দেখে টাইগ্রেসরা। ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২৭ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান করে বাংলাদেশ। ওপেনার ফারজানা হক পিঙ্কি বিশ্বকাপের মঞ্চে অর্ধশতক হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছেন।

ফারজানা ৫২ রান করলেও বাকিদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ১৪০ রানের বেশি সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি টাইগ্রেসরা। জবাবে খেলতে নেমে সুজি বেটিসের অপরাজিত ৭৯ রানে ১ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারের মধ্যে জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।

প্রথমবারের মতো কিউইদের বিপক্ষে ২৭ ওভারে ১৪১ রানের লক্ষ্য দেওয়াকে ভালো বলেই মনে করছেন জ্যোতি। তবে বৃষ্টির মধ্যে খেলতে হয়েছে বলে ভালো করতে পারেনি তার বোলাররা এমনটাই দাবি অধিনায়কের। এসময় ক্ষোভও প্রকাশ করেন জ্যোতি।

‘সংগ্রহ যা ছিল বোর্ডে, তা খুবই ভালো ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে চিত্র পুরো ভিন্ন ছিল। বৃষ্টি ছিল অনেক বেশি ও আবহাওয়ার অবস্থা খেলার উপযুক্ত ছিল না। তবু আমরা খেলেছি। বোলাররা গ্রিপ করতে সমস্যা অনুভব করেছে। আউটফিল্ডে যারা ফিল্ডিং করেছে, এত বৃষ্টি হচ্ছিল যে বল দেখতেও কষ্ট হচ্ছিল।’- বলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।

হারের জন্য বৃষ্টিকে অজুহাত বলে দাঁড় করাচ্ছেন না জ্যোতি, এমনটা জানিয়ে নারী দলের অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘এখন আপনারা বলতে পারেন যে এটা অজুহাত, কারণ প্রথম ইনিংসেও বৃষ্টি ছিল। কিন্তু আসলে তা নয়। প্রথম ইনিংসে বৃষ্টির জোর এত ছিল না, আমাদের ব্যাটিংয়ে সময় কন্ডিশন তুলনামূলক ভালো ছিল। আমাদের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের সময় বৃষ্টি অনেক ভারী ছিল। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা আমাদের ভাবতে হবে। বিশ্বকাপের পরও অনেক খেলা আছে আমাদের।’

বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের সময় ভালোই বৃষ্টি হচ্ছিল বলে নিজ দলের ক্রিকেটারদের ইনজুরিতে পড়া নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন জানিয়ে জ্যোতি আরও বলেন, ‘ফিল্ডারদের নিরাপদে ম্যাচ শেষ করা নিয়ে আমি দুর্ভাবনায় ছিলাম। কারণ আরও ৫টি ম্যাচ বাকি। আমার খেলোয়াড়রা যদি নিরাপদ থাকে, তাহলেই বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারব। লড়াইটা করব যাদের নিয়ে, তাদের নিরাপত্তা আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

মাঠের কন্ডিশনে যে সকল সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেসব ম্যাচ রেফারির কাছে রিপোর্টের পরিকল্পনাও আছে বাংলাদেশের, তেমনটাই জানিয়েছেন জ্যোতি।

‘মাঠে আম্পায়ারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই কন্ডিশনে খেলা চালিয়ে যাব কিনা। তারা বারবার বলছিল যে, ‘চালিয়ে যান।’ সেক্ষেত্রে মাঠে আমার এর বেশি কিছু করার থাকে না। কিন্তু মাঠের বাইরে অবশ্যই যতটুকু কাজ করা যায়, কথা বলে ম্যাচ রেফারিকে জানাব যে কন্ডিশন এরকম ছিল বা পরের ম্যাচে কী কী করলে ভালো হবে।’- বলেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।

সূত্র : আরটিভি
এম এস, ০৭ মার্চ

Back to top button