ক্রিকেট

চেনা প্রতিপক্ষ, জয়ে বিশ্বকাপ শুরুর স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ

ওয়েলিংটন, ০৪ মার্চ – ১৯৯৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের পুরুষ দলের, তার ঠিক ২৩ বছর পর ২০২২ এ এসে এই ফরম্যাটের বিশ্বমঞ্চে পা রাখছে নারীরা। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হচ্ছে আরো একটি সাফল্যের পালক। শুভসূচনা করে এই উপলক্ষ স্মরণীয় করে রাখতে চায় নিগার সুলতানার দল।

নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ যাত্রায় বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ চেনা দক্ষিণ আফ্রিকা। চেনা এজন্য যে, এখন পর্যন্ত যে ৪২টি ওয়ানডে খেলেছে মেয়েরা, তার মধ্যে ১৭টিই এই দলের বিপক্ষে। ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভাল মাঠে বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় খেলাটি শুরু হবে।

জয় দিয়ে শুরুটা রাঙাতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার। চেনা প্রতিপক্ষ হওয়ায় তার আত্মবিশ্বাসের পারদ বেশ উঁচুতে। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের জন্য এবং সবার জন্যই প্রথম ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে আমরা কীভাবে এগিয়ে যাব সেটা অনেকটা বোঝা যাবে এই ম্যাচে। আমরা জয়ের জন্যই নামব। আমাদের জন্য এটা সুযোগ, কারণ দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা ভালোভাবে জানি। তাই জয় দিয়ে শুরু করার ভালো একটি সম্ভাবনা আমাদের মনে।’

দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলার মেয়েদের চেনা প্রতিপক্ষ হলেও অর্জন কিন্তু কম। এখন পর্যন্ত ১৭ দেখায় জয় মাত্র দুটিতে! এই জয় দুটি আবার নিজেদের মাটিতেই। সবশেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে সবগুলোতেই বড় হার। তবে তাদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করেই বিশ্বকাপের ম্যাচে নামছে বাংলাদেশ।

‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা অনেক খেলেছি। তাদের শক্তি সম্পর্কে তাই আমাদের জানা আছে। ওদের পেসারদেরও আমরা খেলেছি। কিছু ধারণা তাই আছে। কিছু হোমওয়ার্ক অবশ্যই করেছি আমরা। পরিকল্পনাগুলো আমরা ম্যাচে বাস্তবায়ন করতে চাই।’- বলেছেন নিগার।

বিশ্বকাপের মহারণে নামার আগে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ও পাকিস্তানের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে হারলেও দারুণ লড়াই করেছিল মেয়েরা। নিগারও মনে করেন তারা ইতিবাচক কিছু পেয়েছেন ম্যাচগুলো থেকে। সেগুলোই কাজে লাগাতে চান মূল ম্যাচে।

তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, গা গরমের ম্যাচে আমাদের প্রস্তুতি ভালোই হয়েছে। হয়তো ফল আমাদের পক্ষে আসেনি। তবে ইতিবাচক অনেক কিছুই আমরা পেয়েছি। প্রস্তুতি ম্যাচের সেই প্রাপ্তিগুলোকেই মূল টুর্নামেন্টে কাজে লাগাতে চাই আমরা।’

‘প্রস্তুতি ম্যাচ দুটি জিতলে হয়তো ঘাটতিগুলো আমাদের চোখে পড়ত না। সেদিক থেকে আমি খুশিই। জিতলে অনেক ভুল আড়াল হয়ে যায়। ঘাটতিগুলো ঢাকা পড়ে যায়। সেদিক থেকে আমাদের জন্য ভালো ব্যাপার ছিল যে, ঘাটতিগুলো নিয়ে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের দলের জন্য অনেক ভালো হয়েছে এটা।’ – যোগ করেন তিনি।

৭ মার্চ বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচের প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড, ১৪ মার্চ পাকিস্তান, ১৮ মার্চ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২২ মার্চ ভারত, ২৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়া ও ২৭ মার্চ ইংল্যান্ড। ম্যাচ ধরে ধরে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা বাংলাদেশের।

নিগার বলেছেন, ‘আমরা প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে চাই। আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ এটি, স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমরা সবাই জানি, শুরুটা ভালো করা জরুরি। তাহলে টুর্নামেন্টের বাকি সময়ের জন্য আরো সাহস ও আত্মবিশ্বাস পাব আমরা। মেয়েদেরকে আমি সেই বিশ্বাসই দেওয়ার চেষ্টা করছি যে, আমরা প্রতিপক্ষর নাম দেখব না। দক্ষিণ আফ্রিকা হোক বা যে কোনো দল, আমরা নিজেদের শক্তির জায়গা দেখাব, দল হিসেবে আমরা কী করতে পারি সেই প্রমাণ দিব।’

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ০৪ মার্চ

Back to top button