জাতীয়

সরকারের উদ্দেশ্যে যা বললেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা

জামালপুর, ০২ মার্চ – ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেছেন, সংসদে আমি বলেছিলাম বাজারে আগুন। এই যে ভয়াবহ করোনায় কত মানুষ চাকরি হারিয়েছে, কত মানুষ বেকার হয়েছে, পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে, আজকে অনেকের ঘরে চাল নেই, তারা ঘরের ভাড়া দিতে পারেন না; শেখ হাসিনা আপনি জবাব দেন। কিন্তু আপনি কোনো জবাব দিতে পারেননি।

বুধবার দুপুরে জামালপুর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা এমপি বলেন, এই করোনায় সাড়ে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে। আরও কত মানুষ কাজ হারিয়েছে। বহু মানুষ চিরতরে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে এই সরকারের কাছে কোনো হিসাব নাই। সরকার বলে মাথাপিছু আয় নাকি বেড়ে গেছে, আরে মাথাপিছু আয় কারে বলে সরকারের সঙ্গে আমার সাধারণ ভাইয়ের যখন আয় যুক্ত করো তখন তো মাথাপিছু আয় বেশিই মনে হবে। এটা তো মাথাপিছু আয় না, এটা হলো লুটেরা সরকারের বানানো আয়। আজ সাধারণ মানুষের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকারের কোনো নজর নেই।

এমপির আরও বলেন, যখন আমরা ছিলাম ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল তখন চালের দাম ১৭ থেকে ২০টাকা কেজি, আর এখন সেই চালের দাম বাড়িয়েছে ৭০ টাকা কেজিতে। ৭০ টাকা কেজি চাল প্রধানমন্ত্রী আপনি কিনে খেতে পারেন আমরা তো পারি না, সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারে না। আমাদের সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৮ টাকা কেজিতে, এখন সেই পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে ৫৫ টাকা করে, সেই পেঁয়াজ দিয়ে আপনার বাসায় রান্না হয়। আপনি মশকারা করে বলতে পারেন রান্নায় পেঁয়াজ খাওয়া কমাইয়া দেন, জনগণের সঙ্গে মশকারা করবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই জনগণের সঙ্গে মশকারা করার মাশুল কিন্তু অনেক চড়া। আপনারা দেখেছেন জনগণের সঙ্গে মশকারা করার ফলে ২১ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন; ক্ষমতায় আসতে পারেন নাই।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাকসুদ আলম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সফিউর রহমান সফি, অ্যাডভোকেট মনজুর কাদের বাবুল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিব প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : যুগান্তর
এন এইচ, ০২ মার্চ

Back to top button