পুলিশ মারলে পুলিশকে পাল্টা মারার নিদান দিলেন বিজেপি নেতা
কলকাতা, ২৮ ফেব্রুয়ারি – অনুব্রত মণ্ডলের সুর এবার বিজেপি নেতা অর্জুন সিংয়ের গলায়। পুলিশ মারলে পুলিশকে পাল্টা মারার নিদান দিলেন বিজেপি নেতা। দলের সংগঠন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “এইভাবে নিরামিষ আন্দোলন বাংলায় চলবে না। পুলিশ মারলে পাল্টা মারতে হবে পুলিশকে। বাংলায় যে দল আন্দোলন করে তারাই টিকে থাকে। বাংলার মানুষ আন্দোলনকারীদের পাশে থাকে।”
যদিও, অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যকে সমর্থন করেননি অর্জুন। তাঁর মতে, ‘অনুব্রত বলেছেন বুথ লুঠ করতে বাধা দিলে পুলিশকে মারব। আমি এটা বলিনি। আমার সাফ বক্তব্য পুলিশের কোনও এক্তিয়ার নেই আমায় মারার। তারা আমায় গ্রেফতার করতে পারে। কিন্তু আমার উপর লাঠি-গুলি চালাতে পারবে না। আমায় মারলে আত্মরক্ষার তাগিতে আমাকেও মারতে হবে।”
অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, “গতকাল গুণ্ডারা মেরেছে পুলিশকে। বিজেপি মারেনি। পুলিশ উল্টে আমাদের সদস্যদের আটকে রেখেছে যাতে ভোট লুঠ করতে পারে। আমাদের প্রার্থীদেরকে আটকে রেখে দিয়েছে। নির্দল মহিলা প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়েছে। পুলিশের এই ব্যবহারে স্বাভাবিক ভাবে উত্তেজিত হয়ে গিয়েছে। পুলিশের কাছ থেকে এই ব্যবহার আশা করা যায় না। সেই কারণে তারা ভাবছে পুলিশই শত্রু। তৃণমূল ভোট করছে, লুঠ করছে সবটাই পুলিশকে সামনে রেখে। এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে উত্তেজিত হওয়া এমন কোনও বিষয় নয়।”
অর্জুনের মন্তব্য নিয়ে কী বললেন অনুব্রত মণ্ডল?
‘অর্জুন সিং একটা পাগল ছেলে। ও যা করে ইচ্ছাকৃত। খবরে থাকতে করে। ওর কথা শুনে কোনও লাভ নেই। ও ফালতু লোক। ওর কথা বাংলার মানুষ শুনবে না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, পুরভোটে দেদার ছাপ্পা, সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ ডাকে বিজেপি। সোমবার ১২ ঘণ্টার বনধ ডাকা হয়েছে। দলের তরফে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই বনধের ঘোষণা করে বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিক দল নয়। সমাজের সর্বস্তরের মানুষ এই বনধের সমর্থনে এগিয়ে আসুক। তাঁর কথায়, পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে গেলে এইভাবে চলতে পারে না। বাংলাকে রক্ষার তাগিদেই সকলকে বনধে শামিল হতে হবে।’
সূত্র: টিভিনাইন
এম ইউ/২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২