অস্ট্রেলিয়া

যুদ্ধজাহাজ থেকে বিমানে লেজার নিক্ষেপ, তদন্তের দাবি স্কট মরিসনের

ক্য়ানবেরা, ২১ ফেব্রুয়ারি – অস্ট্রেলীয় সমুদ্রসীমার মধ্যে চীনা যুদ্ধজাহাজ থেকে অস্ট্রেলিয়ার একটি সামরিক প্লেনে লেজার রশ্মি নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছেন অজি প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। খবর রয়টার্সের।

সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের কাছ থেকে গত বৃহস্পতিবারের (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওই ঘটনার কোনো ব্যাখ্যা পায়নি। এটিকে ‘বিপজ্জনক ও বেপরোয়া কাণ্ড’ বলে উল্লেখ করেছে ক্যানবেরা।

অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গত শনিবার এক বিবৃতিতে বলেছে, অস্ট্রেলিয়ার উত্তর দিকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় চীনা নৌবাহিনীর একটি যুদ্ধজাহাজ একটি অস্ট্রেলীয় সামরিক প্লেনে লেজার নিক্ষেপ করে এর আরোহীদের জীবন বিপণ্ন করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার উত্তর উপকূলের কাছে দুটি চীনা নৌযানের ছবি প্রকাশ করে অস্ট্রেলীয় প্রতিরক্ষা বিভাগ জানিয়েছে, তাদের সামুদ্রিক টহলদারী প্লেন পি-৮এ পসেইডন চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি- নেভির (পিএলএ-এন) জাহাজ থেকে নির্গত লেজার শনাক্ত করেছে।

অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, চীনের একটি গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ও একটি উভচর পরিবহন জাহাজ অস্ট্রেলিয়া ও নিউ গিনির মধ্যকার আরাফুরা সাগর দিয়ে পূর্বদিকে যাচ্ছিল, যেগুলো পরে সরু টরেস প্রণালী দিয়ে বেরিয়ে যায়।

স্কট মরিসন বলেছেন, জাহাজগুলো অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড থেকেও হয়তো দেখা গেছে। তার সরকার কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা চ্যানেলে লেজার নিক্ষেপের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছে।

একইভাবে তাইওয়ান প্রণালীতে অস্ট্রেলীয় জাহাজ থেকে চীনের টহলদারী প্লেনে লেজার নিক্ষেপ করলে কী অবস্থা হতো তা কল্পনা করতে বলেছেন অজি প্রধানমন্ত্রী। তার কথায়, ভাবতে পারেন, বেইজিংয়ে এর প্রতিক্রিয়া কী হতো?

এ ঘটনায় ক্যানবেরায় চীনা দূতাবাস ও বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

সূত্র: জাগো নিউজ
এম ইউ/২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

Back to top button