জাতীয়

একুশে পদকে মেধা ও মননচর্চা সম্প্রসারিত হবে: রাষ্ট্রপতি

ঢাকা, ২০ ফেব্রুয়ারি – একুশে পদক প্রদান করার মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মানিত করে দেশে মেধা ও মননচর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

‘একুশে পদক-২০২২’ প্রদান উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে শনিবার তিনি এসব কথা জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন বাঙালির জাতীয় ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত হয়েছিল।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করে তিনি জানান, ১৯৪৮ সালে মাতৃভাষার দাবিতে গঠিত ‘সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’-এর নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু।

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা আন্দোলনসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের দীর্ঘ সংগ্রামে অমর শহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, ২১শে ফেব্রুয়ারিকে জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করছে। বাংলাদশের মাতৃভাষা দিবস আজ পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের মায়ের ভাষাকে সম্মান জানানোর উৎসবে পরিণত হয়েছে।

ভাষা-সাহিত্য-সংস্কৃতি, শিল্প, সমাজ, গণমাধ্যম প্রভৃতি ক্ষেত্রে নিবেদিতপ্রাণ যেসব খ্যাতিমান বিশিষ্ট নাগরিক ‘একুশে পদক ২০২২’ পেয়েছেন, তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দনও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ভাষা শহীদদের গৌরবদীপ্ত আত্মত্যাগের স্মৃতিবাহী দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশের ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বিশিষ্ট নাগরিকদের প্রতিবছর একুশে পদক প্রদান করে আসছে।

একুশে পদক সম্মাননাপ্রাপ্ত গুণিজনেরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের সম্মানিত করার মধ্য দিয়ে দেশে মেধা ও মননচর্চার ক্ষেত্র আরো সম্প্রসারিত হবে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নাগরিকগণ দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সংস্কৃতি বিকাশে তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা ও সাধনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মাঝে নতুন উদ্দীপনা ছড়িয়ে দেবেন -এ প্রত্যাশাই করি।’

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ২০ ফেব্রুয়ারি

Back to top button