ত্রিপুরা

ফের কংগ্রেসের হয়ে ত্রিপুরায় ফিরলেন সুদীপ ও আশীষ

আগরতলা, ১৩ ফেব্রুয়ারি – অবশেষে কংগ্রেসে যোগ দিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দুই বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ ও আশীষ কুমার সাহা। এর আগে গত সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজ্য বিধানসভার (ত্রিপুরা) বিধায়ক এবং বিজেপি দলের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন শাসক দলীয় এ দুই বিধায়ক। এরপর রাজধানী দিল্লিতে গিয়ে জাতীয় কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় নেতাদের হাত ধরে যোগ দেন তাদের পুরনো দল কংগ্রেসে।

শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দিল্লি থেকে তারা দুজনেই ফিরে আসেন ত্রিপুরায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ সিনহা এবং অন্যান্যরা। মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দরে নামতেই তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান দলের কর্মী ও সমর্থকেরা। পরে সেখান থেকে ফিরে আসেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে।

জানা গেছে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ত্রিপুরা প্রদেশ নেতৃত্বের কাছেও পৃথকভাবে একটি চিঠিতে তারা তাদের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে ইস্তফার কথা জানিয়েছেন। এরপর প্রদেশ বিজেপির সভাপতি ড. মানিক সাহা গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়ে দেন যে তাদের দু-জনের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফার যে চিঠি দেওয়া হয়েছে তা গ্রহণ করা হলো।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে ত্রিপুরা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তীও জানিয়েছিলেন, তাদের পদত্যাগপত্র আমলে নেওয়া হযেছে। একই সঙ্গে সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের পর থেকেই দুই বিধায়ক তাদের পদ খুইয়েছেন বলেও জানান তিনি। আরও বলেন, এখন থেকে তারা রাজ্য বিধানসভার সাবেক সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।

অন্যদিকে, ত্রিপুরায় ফিরে যারা দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে থেকে এতদিন দলের হাল ধরে রেখেছেন সেই প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বিরাজিত সিনহা, সাবেক প্রদেশ সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায়-দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সুদীপ রায় বর্মণ। তিনি বলেন, ‘আবেগের কাছে মাথানত করেননি তারা। আমরাই আবেগের বশবর্তী হয়ে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ভুল হয়েছে, আজ তা বুঝতে পারলাম।’

আশীষ কুমার সাহা বলেন, বিরোধীদলে থাকাকালীন সময়েও মানুষের স্বার্থে নানা সময়ে নানা কাজ করে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু বর্তমান সময়ে শাসক দলে থেকেও সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন তিনি। মানুষের প্রতিবাদের ভাষা থেকে শুরু করে সংবাদ মাধ্যমগুলোকেও আক্রমণ করা হচ্ছিলো। এদিক থেকে সব অংশের জনগণকে তাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিতেই তার এ সিদ্ধান্ত বলেও জানান তিনি।

প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বর্তমান সভাপতি বিরাজিত সিনহা, সাবেক সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায় অবশ্য তাদের এ আগমনে খুশি। তারা মনে করেন, ২০২৩ সালের আগে তাদের সঙ্গে নিয়ে আগের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী হবে প্রদেশ কংগ্রেস। একই সঙ্গে শাসকদলীয় অন্যান্য বিধায়করাও তাদের সঙ্গে যোগ দেবেন এবং ২০২৩-এ কংগ্রেসই সরকার গঠন করবে বলেও মনে করেন তারা।

সূত্র : জাগো নিউজ
এন এইচ, ১৩ ফেব্রুয়ারি

Back to top button