কুড়িগ্রাম

নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

কুড়িগ্রাম, ০২ নভেম্বর – কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন আবু তালেব সরকার (৪৯) নামের এক ইউনিউয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান। সরকার বাল্যবিয়ে বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে কিশোরীকে কীভাবে তিনি বিয়ে করেন, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। তা ছাড়া কিশোরীসহ চেয়ারম্যানের তিনটি বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগযোগমাধ্যমে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় তুলেছেন উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দারা।

গতকাল রোববার রাতে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার। ইউনিয়নের যে গ্রামে বিয়ের ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানকার এলাকাবাসী জানান, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের একটি গ্রামে বসবাস করে ওই কিশোরী। তার বাবা একজন প্রতিবন্ধী। কিশোরী স্থানীয় একটি স্কুলে পড়াশোনা করে। ক্লাসে যাতায়াতের সময় কিশোরীকে দেখেন চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার। নানাভাবে তাকে ফুসলিয়ে ওই ছাত্রীর সেঙ্গে তিনি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।

স্থানীয়রা আরও জানান, কিশোরীর বাবা প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল। এ সুযোগ নিয়ে কিশোরীর পরিবারকে আর্থিক সহায়তা করা হবে বলেও প্রলোভন দেখান চেয়ারম্যান। গতকাল রোববার রাতে কিশোরীর পরিবার চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার বিয়ে দেন।

জানা গেছে, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের একটি বিয়ে ভেঙে যায়। তার আরেক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। ওই সন্তান কলেজে পড়ালেখা করে।

এদিকে চেয়ারম্যানের তৃতীয় বিয়ের একটি ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই ওই এলাকার লোকজন সমালোচনা শুরু করেন। জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারের নিয়ম বর্হিভূত কাজ করায় তার প্রতি নিন্দা জানান।

ওই কিশোরী যে স্কুলে পড়ালেখা করে, সেখানকার প্রধান শিক্ষক মেহেরুজ্জামান জানান, জনপ্রতিনিধি হয়ে চেয়ারম্যানের এমন কাজ মোটেই উচিত হয়নি।

বিয়ে বিষয়টি স্বীকার করে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার বলেন, ‘আমার সদ্যবিবাহিত স্ত্রীর পিএসসির সার্টিফিকেট অনুযায়ী ২০ বছর বয়স। সে বিভিন্ন শ্রেণিতে একাধিকবার থেকে যাওয়ায় এখনো উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।’

নতুন স্ত্রী কোন ক্লাসে পড়ে জানতে চাইলে চেয়াম্যান বলেন, ‘হবে নবম বা দশম শ্রেণি। আমার প্রতিপক্ষরা বিষয়টিকে নিয়ে নানাভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

এ বিষয়ে উলিপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এ বিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সুত্র : আমাদের সময়
এন এ/ ০২ নভেম্বর

Back to top button