অপরাধ

অনলাইনে ‘জিনের বাদশা’ পরিচয়ে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ৩

ঢাকা, ০৮ ফেব্রুয়ারি – জিনের বাদশা পরিচয়ে অনলাইন প্লাটফর্মে প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। এই চক্রটি অনলাইন প্লাটফর্মসহ কেবল নেটওয়ার্কের লোকাল চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল।

গ্রেপ্তারকৃত আবদুল গফফার ও লুৎফর রহমান গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার পূর্ব সমসপাড়া গ্রামের মোতাহার আলী মোজার ছেলে আর অপর গ্রেপ্তারকৃত মো. শামীম একই এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল ফোন এবং বিভিন্ন অপারেটরের একাধিক সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে সিআইডির সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তাধর।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তাধর বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আবদুল গাফফার ও লুৎফর বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মসহ কেবল নেটওয়ার্কের লোকাল চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জটিল ও কঠিন রোগে আক্রান্ত অসুস্থ মানুষকে সুস্থ্ করা, বিদেশে যাওয়ার সুব্যবস্থা, দাম্পত্য কলহ দূর করা, বিবাহের বাধা দূর করা, চাকরিতে প্রমোশন, কম দামে স্বর্ণ ক্রয়, বদ জিনকে বিতাড়িত করা, খন্নাস জিনকে পাতিলবন্দি করা ইত্যাদি সমস্যা সমাধানের জন্য বিজ্ঞাপন দিত। সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মানুষ যোগাযোগ করলে ভিন্ন কণ্ঠে কথা বলে নিরীহ সরলমনা মানুষকে ফাঁদে ফেলে এবং পরবর্তীকালে তাদের কথা অনুযায়ী কাজ না করলে প্রিয়জনের ক্ষতির ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করত। জিনের বাদশা সেজে এই প্রতারক চক্রটি দেশের বিভিন্ন জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিষয়টি সিআইডির দৃষ্টিগোচর হলে, সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিক নির্দেশনায় ওই প্রতারক চক্রের মূল উৎপাটনের জন্য তথ্য সংগ্রহ করে দেশব্যাপী অভিযান চালায়। সিআইডির এলআইসির একটি চৌকস দল গাইবান্ধায় অভিযান চালিয়ে কথিত ‘জিনের বাদশা’ চক্রের মূল হোতা মো. লুৎফর রহমান ও তার বড় ভাই আবদুল গাফফারকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত লুৎফর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে সিআইডি সংবাদ সম্মেলনে জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা জিনের বাদশা সেজে প্রতারণা করে বিভিন্ন লোকজনের অসহায়ত্বের সুযোগে তাদেরকে সর্বস্বান্ত করার বিষয়টি স্বীকার করে। তারা গভীর রাতে জিনের বাদশা ও পীর দরবেশ সেজে বিভিন্ন মানুষের সাথে প্রতারণা করে বিকাশ বা নগদ বা রকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে শতাধিক ভুক্তভোগীর কাছ থেকে গত ছয় মাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকারও বেশি আত্মসাৎ করেছে।

সূত্র : ঢাকাটাইমস
এন এইচ, ০৮ ফেব্রুয়ারি

Back to top button