ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করে ফেঁসে যাচ্ছেন নবনির্বাচিত নারী মেম্বার
জামালপুর, ০৭ ফেব্রুয়ারি – ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করায় ফেঁসে যাচ্ছেন জামালপুর সদরের কেন্দুয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত মেম্বার শাহিদা বেগম। গত ১১ নভেম্বরের ভোটগ্রহণে ঐ ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড থেকে নির্বাচিত হন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের জামালপুর শাখা থেকে গৃহীত ঋণ পরিশোধ না করায় শাহিদা বেগম ও তার স্বামী মো. আনোয়ার হোসেন তোতা ঋণ খেলাপি। শাহিদার স্বামী আনোয়ার জামালপুর শহরের কথাকলি মার্কেটের কাকলি ফ্যাশনের মালিক। তাদের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে অর্থঋণ আদালত জামালপুরে মামলা করে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের শাখা।
আরো জানা গেছে, ঐ মামলায় আদালত বাদীর পক্ষে রায় দেয়। পরে বাদী পক্ষ বিবাদীর বিপক্ষে একটি ডিক্রি জারি মামলা করে। অর্থঋণ আদালত আইন মোতাবেক গত ১০ নভেম্বর ৬নং আদেশ মূলে প্রথম নিলাম বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশের আদেশ দেন বিচারক।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা গেছে, ডিক্রি জারি মামলায় ডিক্রিদারের প্রাপ্য ১ মার্চ ২০২১ তারিখ পর্যন্ত ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১৬৩ টাকা এবং সেই টাকার ওপর মূল মামলা দায়েরকাল থেকে আদায়কাল পর্যন্ত ডিক্রিতে উল্লেখিত ১২ শতাংশ হারে ক্ষতিপূরণ ও মামলার খরচ আদায়ের জন্য বিবাদীর দখলকৃত এক একর ২৮ শতাংশ জমি ও সেখানে থাকা স্থাপনা এবং ভবিষ্যৎ নির্মাণাদী প্রকাশ্য নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করতে ১৭ জানুয়ারি ২০২২ তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগ্রহী ক্রেতাদের কাছে শর্তসাপেক্ষে সিলমোহরকৃত দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
আরো জানা গেছে, নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম দাখিলের সময় ঋণ খেলাপির তথ্য গোপন করেছেন শাহিদা বেগম। এর মধ্য দিয়ে একদিকে নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করেছেন, অন্যদিকে ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি।
উত্তরা ব্যাংক জামালপুর শাখার ব্যবস্থাপক সামিউল ইসলাম জানান, শাহিদা বেগম ও তার স্বামী আনোয়ার হোসেন তোতার কাছে ব্যাংকের বর্তমান পাওনা দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ টাকার উপরে। তারা দুজনই ঋণ খেলাপি। ইউপি নির্বাচনে যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্বাচন অফিস থেকে খেলাপির তালিকা না চাওয়ায় ব্যাংক থেকে পাঠানো হয়নি।
জামালপুর জেলা নির্বাচন অফিসার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঋণ খেলাপিরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অযোগ্য। ঋণ খেলাপি কেউ তথ্য গোপন করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবনির্বাচিত সংরক্ষিত ওয়ার্ড মেম্বার শাহিদা বেগম বলেন, উত্তরা ব্যাংকে তার স্বামীর নামে ঋণ রয়েছে। ওই ঋণে আমি গারান্টার। ব্যাংকে আমার নামে থাকা জমি মর্টগেজ দেওয়া আছে।
সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ
এন এইচ, ০৭ ফেব্রুয়ারি