নাটক

কাজ দিয়েই সবার সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছি: মেহ্জাবীন

ঢাকা, ০৭ ফেব্রুয়ারি – বাবার চাকরীর সুবাদে দেশের বাইরে অর্থাৎ ওমানে বেড়ে ওঠলেও দেশে ফিরে নাম লেখান শোবিজে। ঠিক তেরো বছর আগে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০০৯’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেন মেহ্জাবীন চৌধুরী এবং সেসময় বয়স তুলনামূলক কম হওয়ায় অডিশনের দিন অনেকেই তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করেছিলেন, প্রতিযোগিতার অযোগ্য ভেবে বিচারকদের সামনে পর্যন্তও যেতে দিচ্ছিলেন না। সেসব মানুষদের ধারণাকে ভুল প্রমাণিত করে হাজারো প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে নিজের মেধা, বুদ্ধিমত্তা এবং অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্যস্পৃহা দিয়ে ২০১০ সালের ২২শে জানুয়ারী সেই কম বয়সী তরুণী-ই জয় করে নিলেন বিজয়ীর মুকুট; তিনিই হাসলেন চূড়ান্ত হাসি। মুকুটের পাশাপাশি সবার মন জয় করে নিয়েছিলেন চট্টগ্রামের শান্তশিষ্ট ও লাজুক স্বভাবের মেয়েটি।

মডেলিং তারপর অভিনয়; দুই জায়গাতেই হয়ে উঠেন অনন্য। সেসময়ে অনেকের কটুক্তির শিকার হয়েছিলেন, শুনেছিলেন- দেখতে বিদেশি, ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না-সহ আরও নানারকম সমালোচনা। বিজয়ীর মুকুট মাথায় নিয়ে প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান লাক্সের বিজ্ঞাপনের। ‘মডেলরা অভিনয় জানেন না’- এমন কটুক্তি শুনেও কোন জবাব দেন নি। এরপর ২০১০ সালে প্রথমবারের মত নাম লেখান অভিনয়ে। অভিনয়ের জন্য প্রথম ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান ‘তুমি থাকো সিন্ধুপাড়ে’ দিয়ে, সেই থেকে শুরু এবং এখন পর্যন্ত অভিনয় করেছেন প্রায় পাঁচ শতাধিক নাটকে।

বাংলায় ভালোভাবে কথা বলতে না পারা সেই মেয়েটিই এখন দেশের সর্বাধিক দর্শকের তারকা এবং পারিশ্রমিক কিংবা পরিচালকদের কাছে আস্থাভাজন শিল্পী হিসেবে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন অভিনেত্রী। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেকে তৈরি করেছেন একজন ‘ভার্সেটাইল অভিনেত্রী’ হিসেবে। অভিনয় নৈপুণ্যে দর্শক মনে ঠাঁই করে নেওয়া এ অভিনেত্রী বর্তমান সময়ে টেলিভিশন পর্দার এক অপরিহার্য নাম।

আজ থেকে ১ যুগ অর্থাৎ ১২ বছর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রচারে আসে তার অভিনীত প্রথম নাটক। দেখতে দেখতে অভিনয় ক্যারিয়ারের ১ যুগে পা রাখলেন জনপ্রিয় এ তারকা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ৪৪৫টিরও বেশি মতো নাটকে। বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে প্রায় ৮০টিরও বেশি।

মেহ্জাবীন চৌধুরী বলেন, ‘২০০৮ সালের শেষের দিকে মাত্র ছ’ মাসের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলাম। এখানে আসার পর আমার তেমন কোনো বন্ধু-বান্ধব না থাকায় অনেকটা ডিপ্রেশনে চলে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছিলো। এরপর মাথায় চিন্তা এলো যদি এখানে লাক্স এর কম্পিটিশনে যাওয়া যায় তাহলে হয়তো কিছু বন্ধু পেতে পাবো। সেই চিন্তা থেকেই ২০০৯ সালে ‘লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করি। হাজার হাজার প্রতিযোগীর মধ্যে আমি বিজয়ী হই, এটা যেন বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না তখন!’

পুরো নাম মেহ্জাবীন চৌধুরী হলেও তার ডাক নাম জেনিফার। জেনিফার নামে তাকে শুধু তার পরিবার ও বন্ধুরাই ডাকেন। এর বাইরে তাকে সবাই মেহ্জাবীন নামেই চেনেন। জন্মের এক বছরের মাথাতেই বাবার চাকুরীর সুবাদে তাকে চলে যেতে হয় সুদূর ওমানে। তাই চট্টগ্রামে জন্মালেও তার বেড়ে উঠা ওমানে। মাতৃভাষা বাংলা শেখার সুযোগ না পাওয়া সেই মেয়েটি বড় হয়েছে ইংরেজি ভাষা শিখে। সেখানকার ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা বেশ ভালোই চলছিলো। বন্ধুপ্রিয় এই মানুষটির সঙ্গে বেশ কয়েকজনের ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। সেখানে পড়াশোনা চলাকালীন সময়েই অর্থাৎ কিশোরী বয়সেই ওমানের শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন ‘টাইমস অব ওমান’ এর কাভার স্টোরিতে স্থান পায় ছোট্ট মেহ্জাবীন। ওই সময়ে সেখানকার জুয়েলারির জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ‘ডি ড্যামাস’ ব্র্যান্ডের হয়েও কাজ করেছিলেন তিনি।

পড়াশোনায় এভারেজ স্টুডেন্ট ছিলেন কিন্তু খেলাধূলায় তিনি ছিলেন দুর্দান্ত মেধাবী। মাধ্যমিকেই সেরার কৃতিত্ব স্বরূপ জিতে নিয়েছেন ১৫টিরও বেশি মেডেল। অনেকের স্বপ্ন থাকে ডাক্তার, প্রকৌশলী কিংবা পাইলট হওয়ার। কিন্তু মেহ্জাবীনের স্বপ্ন ছিলো খেলাধূলাকে ঘিরেই। অলিম্পিক বা এশিয়ান গেইমসে যাওয়ার তীব্র ইচ্ছা ছিলো তার। নিজের দেশের হয়ে খেলবেন, নিজের দেশকে রিপ্রেজেন্ট করবেন; এমন স্বপ্নই দেখতেন কিশোরী বয়সে। সেই সুযোগ এলেও ২০১০ সালে মুকুট জয়ীর কারণে তা আর হয়ে উঠেনি। তখন নিজেকে শোবিজেই প্রতিষ্ঠিত করবেন বলেই স্থির করেন।

সেই থেকে শুরু। এরপর ক্রমান্বয়ে বিজ্ঞাপন, নাটকে নিজেকে মেলে ধরতে থাকেন তিনি। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত অভিনয়টাকে সিরিয়াসলি নেননি তিনি। কারণ, দেশের বাইরে বড় হওয়া আর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশোনা করায় বাংলায় তেমন কথা বলতে পারতেন না। যার কারণে প্রথম দিকে অভিনয় করতে গিয়ে নানান সমস্যার মুখে পড়তে হতো তাকে। বাংলা স্ক্রিপ্ট ইংরেজিতে অনুবাদ করে তারপর কাজ করতে হতো তাকে। এভাবে অনেকটা সময় চলে যেত তার। পরে পরিচালক, সহশিল্পীদের সহযোগিতায় বাংলা আয়ত্ত করেন।

তিনি বলেন, ‘ভাবলে অবাক হই, মনে হয় এই তো মাত্র কয়েকদিন আগের কথা। আমার আজকের অবস্থানের পেছনে আমার বাবা-মায়ের অবদান সবচেয়ে বেশি। কারণ আমার তারা আমাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছেন, উৎসাহ দিয়েছেন। আমার মা আমার পাশে থেকে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, এগিয়ে যাবার পথে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও অভিনয়েও নিয়মিত থাকবো, এটা আগে ভাবিনি। ২০১০ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত আমি স্টিলেই ফোকাস দিয়েছি বেশি। আমার কাছে মনে হতো অভিনয় থেকে মডেলিংটা সহজ; তাই এখানেই থাকি। কিন্তু ’১৩ এর পর থেকে অভিনয়েই বেশি মনোযোগ দেই। তখনও যখন অভিনয় করতাম, কত কথা শুনতাম মানুষের কাছে! অনেকেই বলতো, মডেলরা অভিনেতা বা অভিনেত্রী হতে পারে না।

সেখানেও অনেকের কটুক্তি ও সমালোচনার শিকার হয়েছিলাম। অনেকে আমাক নিয়ে হাসাহাসিও করেছে। দেখতে বিদেশি, ভালোভাবে কথা বলতে পারিনা-এরকম অনেক সমালোচনা শুনেছি কিন্তু কোনো প্রতিউত্তর দেইনি। অভিনয় করতে গিয়েও এরকম অনেক কিছু শুনেছি আর চুপচাপ সয়ে গিয়েছি। আমার কথা হলো, কথায় নয়, আমি কাজেই আমার যোগ্যতা প্রমাণ করবো। কাজ দিয়েই সবার সমালোচনার জবাব দিতে চেয়েছি। আমি নিজে সমালোচনা করতে পছন্দ করি না, আমার নামে কেউ কিছু বললেও সেসব কানে নেই না। আমি শুধু কাজটাতেই ফোকাস দেওয়ার চেষ্টা করি সবসময়। কারণ, দিনশেষে কাজটাই কথা বলবে। আমি কাজে বিশ্বাসী। আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারের এই পথ চলায় যারা আমাকে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছেন, ভালোবাসা দিয়েছেন সেসব পরিচালক, সহকর্মী, ভক্ত অনুরাগী এবং সাংবাদিক ভাই-বোনদের প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা জানাই। তারা সবাই আমাকে তাদের ভালোবাসার চাদরে সবসময় মুড়িয়ে রেখেছেন। এমন ভালোবাসাতেই সারাজীবন বেঁচে থাকতে চাই।’

মেহ্জাবীন প্রথম আলোচনায় আসেন ২০১৩ সালে শিখর শাহনিয়াত পরিচালিত ‘অপেক্ষার ফটোগ্রাফি’ নাটক দিয়ে। চমৎকার গল্প এবং মেহ্জাবীন-আফরান নিশো জুটির কেমিস্ট্রি সেসময় বেশ প্রশংসা পেয়েছিল। সেই দর্শকপ্রিয়তা বজায় রাখতে ২০১৩ সাল থেকে মডেলিংয়ের পাশাপাশি নিয়মিত অভিনয়ে মনোযোগ দিতে শুরু করেন। তারপর থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে তার ব্যস্ততা এবং ভালো কাজের পরিমাণ।

এরপর ২০১৭ সালে মিজানুর রহমান আরিয়ান পরিচালিত ‘বড় ছেলে’ নাটক দিয়ে জিয়াউল ফারুক অপূর্বর সঙ্গে জুটি বেঁধে রীতিমত বাজিমাত করে দেন মেহ্জাবীন, নাটকটি হয়ে ওঠে তার ট্রাম্প কার্ড এবং টার্নিং পয়েন্ট। এরপর থেকে ছোট পর্দায় একচ্ছত্র অভিনয়ে তিনি ছাপিয়ে গেছেন অন্যদের। দর্শক ও ভক্তদের ভালোবাসায় মেহ্জাবীন থেকে হয়ে উঠেন মেহু। ভক্তরা ভালোবাসে তাকে এ নামেই ডাকেন। পরিবারের বাইরেও এমন নামে অভিষিক্ত হবেন, তা কখনো ভাবেননি এ নায়িকা। তবে এখন শুধু ভক্তরাই নয়, শুটিং সেটে সবাই তাকে মেহু বলেই ডাকেন।

দিনের পর দিনে নানামাত্রিক চরিত্রে অভিনয় তাকে করে তুলেছে পরিপূর্ণ। এই সময়ে তরুণদের মধ্যে অভিনয়ে হয়ে উঠেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। গল্প ও চরিত্র নিয়ে গবেষণা করা, নিজেকে ধারণ করা; এটাই যেন তার বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়েছে। রোমান্টিক, সামাজিক, স্যাড, সচেতনতামূলক, পারিবারিকসহ সব ধরণের গল্পে ও চরিত্রে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। নানামাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে, অভিনয়গুণে নিজেকে ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। নিজেকে গড়ে তুলেছেন পানির পাত্রের মত। তাকে যেই চরিত্রই দেওয়া হোক না কেন, সেটাতে পারদর্শিতার ছাপ রাখতে জানেন তিনি। ছন্দে ফেলে নিজের অপূর্ণতাগুলোকে ক্রমেই পূর্ণতা দিয়েছেন। অভিনয়গুণেই হয়ে উঠেছেন সুপারস্টার। শোবিজের আকাশে যেন মেহ্জাবীন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। সবার নানান কটুকথা, হাসি-ঠাট্টার জবাব মুখে না দিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কাজেই দিয়ে দিয়েছেন এই তরুণী।

নাটক, বিজ্ঞাপন, মডেলিং ছাড়াও একজন দক্ষ নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তিনি মুগ্ধতা ছড়িয়ে এসেছেন বহুদিন ধরে। এখন পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক নাচ মঞ্চায়িত করেছেন তিনি। এমনকি ২০১৫ সালে ডিসিআরইউ শোবিজ অ্যাওয়ার্ডে বেস্ট ড্যান্সারের খেতাবও পান তিনি। বর্তমানে নাটকের ব্যস্ততার কারণে আগের তুলনায় নাচে অনিয়মিত তিনি। তবে এখন নাটকের চেয়ে ওয়েবেই মনোযোগ দিচ্ছেন বেশি যার কারণে সময় পেলে মাঝেমধ্যে স্টেজ শো-ও করেন।

২০১২ সালে বাবিসাস এবং সিজেএফবি অ্যাওয়ার্ডে সেরা মডেলের পুরস্কার অর্জন করেন মেহ্জাবীন। ২০১৪ সালে সাঁকো টেলিফিল্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা মডেল নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর ২০১৭ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারে সেরা টিভি অভিনেত্রীর সম্মাননা পান। পরের বছরও অর্থাৎ ২০১৮ সালে মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার ও আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেত্রীর সম্মাননা পান। একই বছরে বাবিসাস অ্যাওয়ার্ডেও সেরা টিভি অভিনেত্রী নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৯ সালে আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে আবারও শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী নির্বাচিত হন। সেই ধারবাহিকতায় ২০২০ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে দুটি আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস সম্মাননা পান।

এছাড়াও গেল বছরের আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড কতৃক সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পান মেহ্জাবীন। ‘ফটো ফ্রেম’ নাটকের জন্য ফ্রেন্ডস ভিউ স্টার অ্যাওয়ার্ড কতৃক পান সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার। এছাড়াও একই বছরের মোস্ট ভার্সেটাইল অভিনেত্রী হিসেবে স্টার গল্প ইনস্পায়ার অ্যাওয়ার্ড কতৃক সেরার পুরস্কার, টেলিভিশন রিপোর্টস ইউনিটি অব বাংলাদেশ (ট্রাব) কতৃক সেরার পুরস্কার পান। শুধু তাই নয়, সে বছরে নিজের গল্পে প্রথমবারের মত সেরা গল্পকার ও চিত্রনাট্যকার হিসেবেও তার সাফল্যের মুকুটে যোগ হয় নতুন পালক, অর্জন করেন বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্ক অ্যাওয়ার্ড সম্মাননা । ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কতৃক ‘আলো’ নাটকের জন্য এ সম্মাননা পান তিনি। বছরের শেষ দিনেও সেরার সম্মাননায় ভূষিত হন ছোট পর্দার এই সুপারস্টার।

টানা তৃতীয়বারের মত মেরিল প্রথম আলো সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার লাভ করেন। ঊনিশের ‘এই শহরে’ ও ‘শেষটা সুন্দর’ নাটকের জন্য তিনি একসঙ্গে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে সমালোচক ও তারকা জরিপ পুরস্কার লাভ করেন।

এই অঙ্গনে পা মারিয়ে একটু একটু করেই করেই অভিনয় নৈপুণ্যে নিজের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। হাঁটতে চান আরও অনেকটা পথ, দু হাতে কুড়াতে চান ভালোবাসা।

এন এইচ, ০৭ ফেব্রুয়ারি

Back to top button