সংগীত

লতা মঙ্গেশকরের শেষ গান

মুম্বাই, ০৬ ফেব্রুয়ারি – উপমহাদেশের সংগীতভক্তদের সুরের মায়াজালে বেঁধে প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ইহজগতের মায়া কাটিয়ে রোববার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।

১৯৪১ সালের ১৬ ডিসেম্বর গায়িকা হিসেবে পথচলা শুরু হয় লতা মঙ্গেশকারের। দশ হাজারেরও বেশি ভারতীয় ছবিতে গান করেছেন। এছাড়া ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষাতে ও বিদেশি ভাষায় গান গাওয়ার একমাত্র রেকর্ডটি তারই। তবে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর শেষ গান ছিল কোনটি সেই প্রশ্নটি সামনে এসেছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ অ্যালবাম ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বীরজারা’।সিনেমার গান। কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পীর শেষ গান ছিল ‘সৌগন্ধ মুঝে ইস মিট্টি কি…’। ভারতীয় সেনাবাহিনীর জন্য গাওয়া এই গানটি ২০১৯ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়।

১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্ম হয় লতা মঙ্গেশকারের। জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরবর্তী সময় তার বাবা দীনানাথ মঙ্গেশকারের এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু তার।

জন্মপত্রে লতার নাম ছিল হেমা। পরে বাবার এক নাটকের চরিত্র লতিকার নামানুসারে বদলে যায় হেমার নাম। আত্মপ্রকাশ ঘটে লতা মঙ্গেশকরের। মাত্র ১৩ বছর বয়সে গানের ক্যারিয়ার শুরু। সাল ১৯৪২। লতা যখন স্টুডিওতে গান গেয়েছেন, সে বছরেই জন্ম হচ্ছে অমিতাভ বচ্চনের।

তবে মুম্বাই প্রথমেই লতাকে গ্রহণ করেনি। প্রযোজক শশধর মুখোপাধ্যায় তার শহিদ ছবিতে গান গাওয়ার ইচ্ছা বাতিল করে দিয়েছিলেন নিমেষেই। লতার গলা পাতলা, মন্তব্য ছিল তার। সংগীত পরিচালক গুলাম হায়দার অবশ্য সেদিন বেশ কটি কথা শুনিয়ে এসেছিলেন শশধরকে। জোর গলায় বলেছিলেন— প্রযোজকরা এর পর লতার পা ধরে তাদের ছবিতে গাওয়ার জন্য অনুরোধ জানাবে।

উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে রোববার সকালে ৯২ বছর বয়সে চিকিৎসাধীন মারা যান।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি তিনি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হন। গত চার সপ্তাহ ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

লতা মঙ্গেশকরকে ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। তিনি পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দাদা সাহেব ফালকেসহ একাধিক জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।

এন এইচ, ০৬ ফেব্রুয়ারি

Back to top button