সংগীত

লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থা আরও সংকটাপন্ন

মুম্বাই, ০৬ ফেব্রুয়ারি – উপমহাদেশের কিংবদন্তিতুল্য সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, সাড়া দিচ্ছেন লতা। তার বিভিন্ন থেরাপি চলছে।

এদিকে ৯২ বছর বয়সী লতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতেই তাকে দেখতে মুম্বাইয়ের হাসপাতালে ছুটে গেলেন বোন আশা ভোঁসলে। হাসপাতালে প্রবেশের মুখে আশা বড়বোনের সুস্থতা কামনায় সবার কাছে প্রার্থনা চেয়েছেন। এমনকি গায়িকাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন উদ্ধব ঠাকরের স্ত্রী রেশমী ঠাকরে ।

সাবেক শিবসেনা প্রধান বালাসাহেব ঠাকরের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল লতার। প্রকাশ্যে একাধিকবার বালাসাহেবের প্রশংসা শোনা গিয়েছে গায়িকার মুখে। পরবর্তীকালে বালাসাহেবের ছেলে উদ্ধব ঠাকরে ক্ষমকায় আসার পরেও সে সম্পর্কে ভাটা পড়েনি। এখন লতার সংকটকালেও পাশে দেখা গেল উদ্ধব-পরিবারকে।

এদিকে লতাকে দেখতে হাসপাতালে গেছেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর, সুপ্রিয়া সুলে। হাসপাতালে লতাকে দেখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেন, প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদী) চান, লতা তাড়াতাড়ি সুস্থ উঠুন।

কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর গত ১১ জানুয়ারি মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় লতাকে। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিউমোনিয়া ধরা পড়ে তার। শনিবার মুাম্বইয়ের ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একবিবৃতিতে জানিয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে।

বিবৃতিতে হাসপাতালটির চিকিৎসক প্রতীত সমদানি বলেন, গায়িকার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়েছে। আইসিইউতেই রয়েছেন। তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন।

ভারতীয় সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্ম। তার ক্যারিয়ার শুরু ১৯৪২ সালে একটি মারাঠি ছবির গান রেকর্ডের মধ্য দিয়ে। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গান রেকর্ড করার নিরিখে ‘গিনেস বুক’-এ নাম উঠেছিল তার। ১৯৪৮ থেকে ১৯৭৪ সালের মধ্যে ২৫ হাজারের বেশি গান রেকর্ড করার অনন্য নজির গড়েন প্রায় ৩৬টি ভাষায় গান করা এ শিল্পী। ২০০১ সালে তাকে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এন এইচ, ০৬ ফেব্রুয়ারি

Back to top button