পশ্চিমবঙ্গ

আজ থেকে ক্লাসে ফিরছে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা

কলকাতা, ০৩ ফেব্রুয়ারি – আজ বৃহস্পতিবার থেকে পশ্চিমবঙ্গের অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরছে। এর আগে বুধবার রাজ্যের উত্তর থেকে দক্ষিণ প্রান্তের বহু স্কুলে চোখে পড়েছে তৎপরতা। অনেক স্কুল শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে বসানোর জন্য নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার বার্তা দিয়েছে কিছু স্কুল।

খবরে বলা হয়, কোচবিহার থেকে মালদহ, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি থেকে দুই দিনাজপুর—উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির স্কুলগুলিতে ক্লাসের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে শ্রেণি কক্ষ, বেঞ্চ, চেয়ার-টেবিল জীবাণুমুক্ত করার কাজ শেষ করা হয়েছে। একই ছবি দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, নদিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, মুর্শিদাবাদসহ রাজ্যের বহু স্কুলে। বীরভূমে স্কুল পরিষ্কারের কাজ সরেজমিনে দেখেছেন জেলা শিক্ষা ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা দেখা গিয়েছে স্কুলে-স্কুলে। হুগলির শ্রীরামপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আইভি সরকার বলেন, করোনা-বিধি মানতে কী-কী করতে হবে, শিক্ষার্থীদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ভিডিও এবং অডিও-বার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে। থার্মাল গান দিয়ে ছাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা দেখে নেওয়া হবে।

পূর্ব বর্ধমানের বহু স্কুলই ছাত্রছাত্রীদের জন্য মাস্ক, জীবাণুনাশক রাখবে বলে জানিয়েছে। বর্ধমান ১ ব্লকের কলিগ্রাম হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রানু চক্রবর্তীদের দাবি, বাইরে থেকে টিফিন বা পানি কেনা যাবে না। শিক্ষার্থীদের সে সব জিনিস বাড়ি থেকে আনতে বলা হয়েছে।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতেও নানা স্কুল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পুরুলিয়া শহরের শান্তময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দ্রাণী পাল বলেন, স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা বেশি হওয়ায়, দু’ভাগে আসতে বলা হয়েছে। প্রথম দিন অর্ধেক ছাত্রী ও পর দিন বাকিরা আসবে।

বাঁকুড়া বঙ্গ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনিমেষ চৌধুরী বলেন, প্রতিটি বেঞ্চে দুই থেকে তিন জনকে বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পড়ুয়াদের ইউনিটে ভাগ করে, বিভিন্ন ক্লাসঘরে বসানো হবে।

ঝাড়গ্রাম শহরের ননীবালা বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, কোভিড-বিধি মেনে প্রতিটি বেঞ্চে দু’জন কিংবা এক জন করে বসানো হবে।

উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেদন করে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে বলেছেন। গ্রামীণ এলাকায় পঞ্চায়েত সদস্যদের মাধ্যমে অভিভাবকদের বলা হচ্ছে, তাঁরা যেন ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠান।

সূত্র : বার্তা২৪
এম এস, ০৩ ফেব্রুয়ারি

Back to top button