প্রথা ভেঙে ফ্যাশনে হয়ে উঠুন আরো সাহসী
ফ্যাশনের কাল্পনিক জগৎ থেকে এবার বেরিয়ে আসার পালা। কে বলেছে, আপনাকে শুধু সালোয়ারেই মানায়, জিন্স নয়! হাইহিল পরলে মানায় না, আবার কালার কম্বিনেশন করে ড্রেস পরলে কেমন যেন একটা লাগে! বন্ধুদের এরকম মন্তব্যকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেওয়ার সময় এসেছে। যে পোশাকে আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাই পরুন। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিন।
১) কম উচ্চতার মেয়েদের জন্যই হিল বরাদ্দ – কার নির্দেশ? এই মিথ থেকে আগেই বেরিয়ে এসেছেন দীপিকা পাড়ুকোন থেকে হলি, বলি, টলির নায়িকারা। তবে আপনি পারবেন না কেন ? আপনার উচ্চতা অনুযায়ী সাধ্যের মধ্যে হিল তোলা পামশু বা স্টিলেটো পরতেই পারেন।
২) বয়স ৩৫-এর উপরে। শাড়ি-সালোয়ারে আপনাকে বেশ মানায়। না, এটা আপনার কথা নয়, আপনার পরতেও সবসময় ইচ্ছা করে না। মাঝেমাঝে মিনি স্কার্ট বা ছোটো ড্রেস পরতে ইচ্ছা করে, যেমনটা সুইট সিক্সটিনে ছিল। হলিউডের জেনিফার অ্যানিস্টন বা বলিউডের বিপাশা বসু যদি ৩৫-এর কোটা পেরিয়েও ছোটো ড্রেস পরে ষোড়শীদের মতো স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, আপনি পারবেন না কেন ? সমস্ত সমালোচনা সহ্য করে ভারতের সানিয়া মির্জা নিজের সাহসিকতা দেখিয়েছেন বারংবার। তাই নেতিবাচক ভাবনা ছেড়ে শারীরিক গঠন অনুযায়ী মানানসই ছোটো ড্রেস কিনে ফেলুন। সাহস করে পরেই দেখুন শখ করে কেনা ছোট্ট ড্রেসটি। নতুন পোশাক পরে নিজেকে অন্যের কাছে তুলে ধরুন। দেখবেন, সবাই চমকে যাবে। বাহবা দেবে আপনার সাহসকে। তবে, সব কিছুর আগে চুপিচুপি বলে রাখি – সবার সামনে আসার আগে আয়নাকে জিজ্ঞেস করুন ! সে যদি গ্রিন সিগন্যাল দেয় তবেই জানবেন, ৩৫-এও আপনি ষোড়শী।
৩) একরঙা ড্রেস পরে অফিস যেতে প্রতিদিন ভালো লাগে ? একরঙা পোশাকেই নতুনত্ব নিয়ে আসুন। ড্রেসে নিয়ন রং ছুঁইয়ে দিন। যেমন – সালোয়ারের বডির রং যদি সাদা হয়, নীচের অংশে গাঢ় লাল রঙের পাড় লাগিয়ে নিন। ওড়নাটিকেও ঠিক একইভাবে রাঙিয়ে নিন। আবার অফিস থেকে সোজা যেতে হবে রাতের পার্টিতে। তখন কী পরবেন ? গাঢ় লাল ও ফুশিয়া গোলাপি রঙের কম্বিনেশন ড্রেস ক্যারি করতে পারেন।
এম ইউ