বন্য প্রাণীদের ভয়ংকর যেসব জাত
আমরা অনেকেই ঘুরতে পছন্দ করি। সেই তালিকায় কারো কারো পছন্দের প্রথমে থাকে বনাঞ্চল। তবে সেখানে যে খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে সেটা ভুলে গেলে পরতে হতে পারে দুর্ঘটনায়। কেননা সেখানেই যে হিংস্র প্রাণীদের বসবাস।
তাহলে চলুন যেনে আসা যাক পৃথিবীর কিছু হিংস্র প্রাণীদের সম্পর্কে।
পিপড়া: ভাবছেন শুরুতেই কেন এমন প্রাণীকে নিয়ে আলোচনা করা। কারন এদের স্বরূপ অনেকেরই জানা নেই। বরং এদের সম্পর্কে আমাদের মাঝে রয়েছে ভুল ধারণা। কিছু কিছু স্থানে তাদের আক্রমণ গোটা গ্রাম পর্যন্ত উজাড় করে ফেলেছে। যেমন বুলডগ নামের অস্ট্রেলিয়ান এক জাতের পিপড়া যে কোন প্রাণীকেই তারা কয়েক মিনিটের মধ্যে কঙ্কালে পরিণত করে। তারা দলবদ্ধ ভাবে চলাচল করে। আর সেই চলার পথে যদি কোন প্রাণীকে তারা পায় তখন সে প্রাণী কঙ্কালে পরিনত হবেই।
ক্যাসোয়ারি:
এটি একটি পাখি হলেও এর হিংস্রতা আপনার জন্য বিশাল ক্ষতির কারন হতে পারে। পাখির এই জাতটি বিগত দিনে মানুষের উপর ভয়ানক আক্রমণের প্রায় দেড়শ’টির মতো নজির আছে। আর মানুষ খুনের যে রেকর্ড রয়েছে সেটি ১৯২৬ সালের দিকের ঘটনা!
সিংহ:
এই প্রাণীটির হিংস্রতা আপনার শরীরে কাপুনির সৃষ্টি করবে। তানজানিয়াতেই পর পর ৩টি প্রজন্ম অন্তত দেড় থেকে দু’হাজার স্বজন হারিয়েছে এদের কারণে। মোজাম্বিক থেকে যারা দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রবেশের জন্য রাতে সীমান্ত পাড়ি দেন তাদের অনেকেই বাঘ গোত্রের এই সিংহ নামক প্রাণীটির শিকারে পরিনত হন।
কমোডো ড্রাগন:
প্রাণীটির বসবাস এই কমোডো দ্বীপে। বিশাল আকৃতির এই সরীসৃপকে দেখে ভয় পাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। যদিও আক্রান্ত না হলে অনেকটাই শান্ত থাকে। তবে কমোডো ন্যাশনাল পার্কে ১৯৭৪ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মানুষকে আক্রমণের অন্তত ২৪টি ঘটনা এরা ঘটিয়েছে। যার মধ্যে ৫টি ঘটনায় ছিল প্রাণঘাতির মতো মারাত্মক ঘটনা।
ক্যুগার:
এটি পাহাড়ে বসবাসকারী সিংহের একটি জাত। এরা মূলত উত্তর আমেরিকার পাহাড়ে বসবাস করে। এরা নি:শব্দে আক্রমণ করে। এদের আক্রমনের কবলে পরে প্রতি বছর ওই অঞ্চলের মানুষ প্রাণ হারিয়ে থাকেন। বিশেষ করে ওই এলাকার পর্বতারোহী, অভিযাত্রী এবং পাহাড়ি বাইকারদের কাছে আতঙ্কের এক অন্যতম নাম ক্যুগার।
এন এইচ, ০২ ফেব্রুয়ারি