ব্যক্তিত্ব

আপনি ব্রেণের কোনও অংশটা বেশি ব্যবহার করছেন তার উপর নির্ভর করে আপনার চরিত্র!

মানব মস্তিষ্ককে দুটি অঞ্চলে ভাগ করা যেতে পারে, ডান দিকের অংশ এবং বাঁদিকের অংশ। এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে আমাদের সমগ্র মস্তিষ্ক কিন্তু একটাই কাজ করে না।

এক একটা অংশের উপর একটা কাজের ভার দেওয়া রয়েছে। তাই তো আপনি ব্রেনের কোন অংশটা ব্যবহার করছেন তার উপর আপনার চারিত্রিক গুণাগুণ অনেকাংশেই নির্ভর করে। আচ্ছা আমরা কী ব্রেনর দুটি অংশই একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারি না?

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সাধারণত কেউই তার ব্রেনের দুটি অংশকে একসঙ্গে কাজে লাগাতে পারেন না। বেশিরভাগই মস্তিষ্কের কোনও একটা নিদির্ষ্ট অংশকে বেশি ব্যবহার করে থাকেন।

একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের আচার-আচরণ, স্বাভাব সহ সার্বিক চরিত্র কেমন হবে, তা নির্ভর করে ব্রেনের কোন অংশটা বেশি অ্যাকটিভ তার উপর। সেই কারণেই তো মানুষ ভেদে তাদের পছন্দ-অপছন্দ, ভাললাগা-মন্দ লাগা সব বদলে যায়। এখন প্রশ্ন হল, আপনি বুঝবেন কী করে যে ব্রেনের কোন অংশটা আপনি বেশি ব্যবহার করছেন? এই উত্তরেরই সন্ধান দেওয়া হয়েছে বাকি প্রবন্ধে।

ব্রেনের বাঁদিকের অংশ: যারা ব্রেনের এই অংশটা বেশি ব্যবহার করেন তারা খুব ভাল বক্তা হন। যুক্তি দিয়ে কথা বলতে এরা খুব পছন্দ করেন। শুধু তাই নয়, যে কোনও জটিল পরিস্থিতিকে টুকরো টুকরো করে ভেঙে নিয়ে কীভাবে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরনো যায় সেই নিয়ে ভাবতে এরা বেশ পটু হন।

একথায় এদের বিশ্লেষণ ক্ষমতা খুব মজবুত হয়। তবে এমন মানুষেরা সহজে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করতে চান না। নিজেদের ইমোশানকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মারাত্মক ক্ষমতা রয়েছে এদের। প্রসঙ্গত, মস্তিষ্কের বাঁদিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তারা যেমন ভাল কথা বলেন, তেমনই টানটান লিখতেও পারেন।

বাঁদিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তাদের যে চারিত্রিক গুণগুলি থাকে:

১. এরা খুব যুক্তিবাদি হয়।

২. বাস্তব বোধ প্রবল থাকে।

৩. যে কোনও কিছুর গভীরে গিয়ে ভাবেন।

৪. প্ল্যান করে জীবন অতিবাহিত করেতে ভালবাসেন।

৫. নিজের ইমোশানের উপর দারুন কন্ট্রোল থাকে এদের।

মস্তিষ্কের ডান দিক: ব্রেনের এই অংশটা মূলত স্বপ্ন দেখাতে ভালবাসে। তাই তো যারা এই অংশের ব্যবহার বেশি করেন, তারা একেবারেই বাস্তবাদি হন না। বরং সর্বক্ষণ স্বপ্নের দুনিয়ায় থাকতেই বেশি পছন্দ করেন।

এরা নাম, নাম্বার মনে রাখতে একেবারেই পটু হন না। তবে স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন বলে ক্রিয়েটিভ ফিল্ডে এমন মানুষেরা খুব নাম করেন। বিশেষত লেখক এবং অঙ্কন শিল্প হিসেবে এরা খুব সুনাম অর্জন করেন। আর যদি চরিত্রের দিক থেকে বলেন, তাহলে এমন মানুষেরা নিজের মনের কথা একেবারেই চেপে রাখতে পারেন না।

যদি দুঃখ লাগে তা যেমন খোলা মনে সাবাইকে জিনিয়ে দেন, তেমনি খুশি হলে আশেপাশের মানুষদের মধ্যে সেই খুশিরভাব ছড়িয়ে দিতেও পিছপা হন না। এক কথায় এরা খুবই ইমোশনাল হন। তবে বক্তা হিসেবে একবারেই ভাল হন না এমন মানুষেরা।

ডান দিকের অংশ যারা বেশি ব্যবহার করেন তাদের যে চারিত্রিক গুণগুলি থাকে:

১. এরা খুব খোলা মনের হন।

২. জীবনের যে কেনও পরিবর্তন এরা খুব সহজেই মেনে নিতে পারেন।

৩. হাসি-খুশি থাকতে পছন্দ করেন।

৪. ইমোশানাল হন।

৫. মনের কথা মেনে জীবন চালাতে এরা বেশি পছন্দ করেন। তাই দুঃখও বেশি পান।

৬. সহজে মন খারাপ হয়ে যায় এদের।

৭. সবদিক ভেবে নিয়ে কাজ করতে চান। কিন্তু সব সময় এমনটা করে উঠতে পারেন না।

এম এন / ০১ নভেম্বর

Back to top button