শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে মাঝরাতে প্রত্যাহার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর
রাজশাহী, ০২ ফেব্রুয়ারি – রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ট্রাকচাপায় চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদ হাবিব হিমেল নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন আর বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে মাঝরাতেই রাবির প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আন্দোলনের মুখে মধ্যরাতেই প্রক্টরকে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেন রাবির উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের সামনে ক্যাম্পাসে নতুন ভবন নির্মাণে নিয়োজিত এক ট্রাকের চাপায় প্রাণ হারান বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হিমেল। এছাড়াও আহত হন আরও দুজন।
তারপরেই শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ। একসময় ছাত্রদের পাশাপাশি বিক্ষোভে যোগ দিতে শুরু ক্রেন ছাত্রীরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অতিরিক্ত পুয়লিশ মোতায়েন হলে শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের বাঁধার মুখে এক পর্যায়ে পিছু হটে পুলিশ। রাত ১১টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করতে থাকে। এসময় বিভিন্ন বিক্ষোভের স্লোগান ভেসে আসে তাদের কন্ঠ থেকে। রাস্তার মাঝেই আগুন জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীরা ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘প্রশাসন কী করে, ক্যাম্পাসে ছাত্র মরে’, ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ স্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে রাবির প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগসহ ৬ দফা দাবি তোলে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত বিক্ষোভ আর দাবির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তাদের সামনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লিয়াকত আলীকে ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
এর আগে প্রক্টরের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী ভাই নিহত হয়েছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ঘটনাস্থলে আসেননি। তাহলে তাকে কেন রাখা হয়েছে? আমরা প্রক্টরের পদত্যাগ চাই।
এছাড়াও এসময় ক্যাম্পাসে ঘটে যাওয়া আরও কিছু দূর্ঘটনার কথা তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা জানান, এমন অন্যায় আমরা আর মেনে নেবো না। এর আগে প্রশাসনের অবহেলায় রাবি অডিটোরিয়ামের ছাদ থেকে পড়ে নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আজ আমার ভাই মারা গেছেন। আর কত মৃত্যু দেখে প্রশাসন খুশি হবে? ক্যাম্পাসে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনার কথাও উল্লেখ করেন তারা।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০২ ফেব্রুয়ারি