বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

প্রথম আইফোন যেমন ছিল

পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোনের কথা বললেই সবার মাথায় আসবে আইফোনের কথা। তবে জানেন কি কেমন ছিল প্রথম আইফোন? ২০০৭ সালের ৯ জানুয়ারি প্রথম আইফোন নিয়ে এসেছিলেন স্টিভ জবস। টাচ-স্ক্রিন আইপডের সঙ্গেই এই ডিভাইস, ইন্টারনেট কমিউনিকেটর ও মোবাইল হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছিল।

প্রথম আইফোনে টুজি কানেক্টিভিটি দিয়েছিল অ্যাপেল। সেই সময় ব্ল্যাকবেরি ও নোকিয়া স্মার্ট-ফোনে থ্রিজি কানেক্টিভিটি সঙ্গেই কোয়ার্টি কি-বোর্ড পাওয়া যেত। তবে প্রথম আইফোনে ছিল ২.৪ গিগাহার্জ ওয়াইফাই সাপোর্ট। এছাড়া প্রথম আইফোনে একটি ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছিল। এই ক্যামেরা দিয়ে শুধুমাত্র ছবি তোলা যেত। ভিডিও রেকর্ডিংয়ের সুযোগ ছিল না। আইফোন ৪ এ প্রথম সেলফি ক্যামেরা দেখা গিয়েছিল। সেই সময় অন্যান্য সব ফোনে রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহার হলেও আইফোনের ব্যাটারি খোলার কোনো সুযোগ ছিল না। আজও সব আইফোনে একই মন্ত্র ব্যবহার করেছে অ্যাপেল।

এখন প্রায় সকলেই ব্লুটুথ হেডসেট ব্যবহার করলেও, অনেকেই জানেন না ২০০৭ সালে ব্লুটুথ হেডসেট তৈরি করেছিল অ্যাপেল। আইফোনের সঙ্গে কানেক্ট করে এই হেডসেটের মাধ্যমে ভয়েস কলসহ গানও শোনা যেত। পরে এয়ারপডের হাত ধরে বাজারে আসে কোম্পানির প্রথম ব্লুটুথ হেডসেট। সেই সময় সব ফোনে মেমোরি কার্ড ব্যবহারের স্লট থাকলেও আইফোন থেকে তা বাদ গিয়েছিল। ২০০৭ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত কোনো আইফোনেই স্টোরেজ বাড়ানোর সুযোগ পাওয়া যায়নি।

প্রথম আইফোন লঞ্চের সময়, সেই ফোনে কোনো অ্যাপ স্টোর ছিল না। ফলে ফোন কেনার সময় যে যে অ্যাপ ইনস্টল ছিল, তাই ব্যবহার করতে হতো। আইফোন ৩জি লঞ্চের সময় অ্যাপ স্টোর আত্মপ্রকাশ করে। এছাড়া লঞ্চের আগে অ্যাপেল ছিল একটি কম্পিউটার কোম্পানি, আইফোন লঞ্চের পরে তা একটি স্মার্টফোন কোম্পানিতে পরিণত হয়। কোম্পানিটি এখনো কম্পিউটার বিক্রি করলেও এই মুহূর্তে অ্যাপেলের প্রধান ব্যবসা স্মার্টফোন বিক্রি।

Back to top button