ক্রিকেট

পরাজয়ে ম্লান আরিফের বীরত্বগাথা

অ্যান্টিগা, ০১ ফেব্রুয়ারি – দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়ে একাই পাকিস্তানের বিপক্ষে লড়েছিলেন আরিফুল ইসলাম। পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি। দলের রান ১৭৫, আরিফুল একাই করেছিলেন ১০০। কিন্তু তার এই বীরত্বগাথা ম্লান পাকিস্তানের জয়ে। সেঞ্চুরির জবাবে হাসিবুল্লাহ খান খেলেছেন ৭৯ রানের ইনিংস। বাকিরাও রেখেছেন অবদান। তাতে ম্যাচটাও হারল বাংলাদেশ।

সুপার লিগ প্লে-অফ সেমিফাইনালে অ্যান্টিগায় সোমবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ৪৯.২ ওভারে ১৭৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ২১ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে বিশ্বকাপে পঞ্চম হওয়ার লড়াইয়ে প্লে-অফ ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। বাংলাদেশের পরবর্তী টার্গেট সপ্তম স্থান নির্ধারণী খেলা। ৩ ফেব্রুয়ারি রাকিবুলদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দুর্বল চিত্র আজও ফুটে উঠে প্রবলভাবে। টপ ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা স্রেফ হতাশ করেছেন। তবে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন আরিফুল। ১১৯ বলে ৫ চার ও ৪ ছক্কায় ১০০ রানের ইনিংসটি খেলেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউ। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন। এছাড়া মেহরব হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৪ রান। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছতে পারেননি। হতাশ করেছেন নাবিল (১), আইচ মোল্লা (৪), ফাহিমের (৫) মতো প্রতিশ্রুতিশীল ব্যাটসম্যানরা।

পাওয়ার প্লে’তে ভারতের বিপক্ষে মাত্র ২০ রান করেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৭ রান। অথচ বাকি দলগুলো এই সার্কেল সুবিধা কাজে লাগিয়ে দ্রুত রান তুলেছে। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে আরিফুল থিতু হয়ে ছিলেন ২২ গজে। ৫০ রান পেতে বল খেলেন ৮২টি। সাদাকাতকে লং অন দিয়ে ছক্কা উড়িয়ে তুলে নেন ফিফটি।

ফিফটি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছেছেন পরের ৩৬ বলে। হঠাৎ তার সেঞ্চুরির সম্ভাবনা দেখা দেয়। ৪৬তম ওভারে বোলিং করতে আসেন মিডিয়াম পেসার আইয়াস আলী। তখন ৭৪ রানে ব্যাটিং করছিলেন আরিফুল। পাকিস্তানের পেসারকে তিন ছক্কা উড়ান ওই ওভারে। প্রথম দুইটি মিড উইকেট দিয়ে। পরেরটি স্কয়ার লেগে। এক লাফে তার রান চলে যায় ৯২-এ। এরপর সিঙ্গেল ও ডাবলসে পৌঁছে যান সেঞ্চুরিতে।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন আইয়াস আলী ও মেহরান মুমতাজ। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন জিসান জামির ও আহমেদ খান।

লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশের সামনে এক মুহূর্তের জন্য চাপ অনুভব করেনি পাকিস্তান। দুর্দান্ত শুরুর পর মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও শেষ হাসিটা তারাই হেসেছে। উদ্বোধনী জুটিতে মোহাম্মদ শেহজাদ ও হাসিবুল্লাহ খান ৭৬ রান করেন। এ জুটি ভাঙেন নাঈমুর রহমান। ৩৬ রানে আউট হন শেহজাদ।

দ্বিতীয় উইকেটে ইরফান খানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন হাসিবুল্লাহ। উইকেট রক্ষক হাসিবুল্লাহ তুলে নেন ফিফটি। সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনার রাকিবুলের বলে ৭৯ রানে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন।

সঙ্গী হারানোর পর ইরফান খান টিকতে পারেনি। ২৪ রানে রান আউট হন। রাকিবুলের দ্বিতীয় শিকার কাসিম আকরাম (১)। জয়ের বাকি কাজ সারেন আব্দুল ফাসেহ (২২) ও আব্বাস আলী (৫)।

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ০১ ফেব্রুয়ারি

Back to top button