ক্রিকেট

পারিশ্রমিক নিয়ে খেলোয়াড়-ফ্রাঞ্চাইজি দ্বন্দ্ব, বিসিবির হস্তক্ষেপে সমাধান

ঢাকা, ০১ ফেব্রুয়ারি – মেহেদী হাসান মিরাজের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এক খেলোয়াড় ও ফ্রাঞ্চাইজির মধ্যে পারিশ্রমিক নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। ওই খেলোয়াড় হুমকি দিয়েছিলেন, পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ না দিলে বিপিএল খেলবেন না! পরবর্তীতে ফ্রাঞ্চাইজি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের কাছে অভিযোগ করলে তারা বিষয়টি সমাধান করে।

জানা গেছে, সিলেট সানরাইজার্সের খেলোয়াড় তাসকিন আহমেদ ফ্রাঞ্চাইজির কাছে পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ দেওয়ার জন্য চাপ দেন। প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ৩৫ লাখ টাকায় তাসকিনের সঙ্গে চুক্তি করে সিলেট। ফ্রাঞ্চাইজি চুক্তি অনুযায়ী ৭০ ভাগ টাকা পরিশোধ করেছে। কিন্তু তাসকিন বিপিএল চলাকালীন পারিশ্রমিকের পুরো অর্থ চেয়ে বসেছেন।

খেলোয়াড় ও ফ্রাঞ্চাইজির নাম না বললেও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক এমন কিছু ঘটেছে তা স্বীকার করেছেন, ‘একটা নির্দিষ্ট অঙ্কে একজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে ফ্রাঞ্চাইজির সরাসরি সাইনিং হয়েছিল। চুক্তির ৭০ ভাগ টাকা ফ্রাঞ্চাইজি দিয়েও দিয়েছে। ফ্রাঞ্চাইজি আজ (সোমবার) আমাদেরকে জানাল, ওই খেলোয়াড় এখনই পুরো টাকা চাচ্ছে। আমি নিজে মালিকের সঙ্গে কথা বলেছি। ৭০ ভাগ টাকা পাওয়ার পরও ওই খেলোয়াড় চাপ দিচ্ছে। সে ফোন ধরেনি। খেলোয়াড় তাকে বলছে, পুরো টাকা না পেলে সে খেলবে না।’

খেলোয়াড় ও ফ্রাঞ্চাইজি সরাসরি চুক্তি নিয়ে ইসমাইল হায়দার যোগ করেন, ‘চুক্তি যেভাবে হয়…৫০ পারসেন্ট সাইনিংয়ের সময় দেওয়া হয়। ২৫ ভাগ টুর্নামেন্ট চলার সময় এবং ২৫ ভাগ পরে দেওয়ার কথা। এটা ৫০-৩০-২০ ও হতে পারে। সেগুলোও সমস্যা না। কারণ স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক কিন্তু গ্যারান্টি করে রেখেছি আমরা। তাই সবাইকে একটু সহনশীল হতে হবে। ধৈর্যশীল হতে হবে। দায়িত্ববান হওয়ার অ্যাটিটিউড শো করতে হবে। না হলে এরকম বিতর্ক আসতে থাকবে। টুর্নামেন্টের ক্ষতি হবে।’

এদিকে সিলেট ফ্রাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা প্রথমে ঘটনাটি স্বীকার করেনি। পরবর্তীতে মিস কমিউনিকেশন বলে দাবি করেন। দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেছেন, ‘একটা মিস কমিউনিকেশন হয়েছিল তাসকিনের সঙ্গে আমাদের। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল তাসকিন ও আমাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করে ফেলেছে।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও মিরাজের ঘটনাকেও তাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিফাত উজ জামান মিস কমিউনিকেশন বলে দাবি করেছিলেন। এভাবে মিস কমিউনিকেশনেই বিতর্কের জন্ম হয়। বিব্রত হয় বিসিবি।

এজন্য ইসমাইল হায়দার কড়া হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘প্রত্যেকে রেসপন্সিবল অ্যাটিচুয়েড করতে হবে। যদি সেটা কেউ না করে ভবিষ্যতে সেটা খেলোয়াড় হোক আর ফ্র্যাঞ্চাইজি হোক আমরা তাকে বিপিএলে রাখবো না। এটাই আমরা করতে পারি।’

সূত্র : রাইজিংবিডি
এন এইচ, ০১ ফেব্রুয়ারি

Back to top button