পশ্চিমবঙ্গ

‘রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি’, বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী

কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি – পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জদগীপ ধনখড়কে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা এ তথ্য জানান। তার কথায়, ‘আমি রাজ্যপালকে টুইটারে ব্লক করে দিয়েছি। ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি।’

মমতা বলেন, ‘তার কাছে বহু ফাইল, অনেক বিল আটকে রয়েছে। তার সঙ্গে গিয়ে আমি দেখা করেছি। কথা বলেছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’

রাাজ্যপালের কারণেই সরকারের অনেক কাজ আটকে আছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও জানিয়েছেন, কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি।

মুখ্যমন্ত্রীর সংযোজন, ‘বাম জমানায় যখন রাজ্যপাল ছিলেন ধর্মবীর, তখন তিনি কিছু ফাইলে সই করেননি। তা নিয়ে আন্দোলন হয়েছিল। শেষমেশ তাকে সরে যেতে হয়েছিল। আমরা তো দেড় বছর ধরে সহ্য করছি।’

ধনখড়ের বিরুদ্ধে মমতার অভিযোগ, রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে পুলিশের ডিজি, এসপি জেলাশাসক- সবাইকে ডেকে ভয় দেখাচ্ছেন রাজ্যপাল। এর পরই মমতা বলেন, ‘হাই কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ফাইল, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের ফাইল আটকে রেখেছেন রাজ্যপাল। আটকে রয়েছে হাওড়া-বালি বিল। বিল পাঠানোর পর আরও তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। আমরা তা-ও পাঠিয়েছি। তার পরও বিল পড়ে রয়েছে।’

ধনখড়কে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আমরা পাড়ায় পাড়ায় মা ক্যান্টিন চালু করলে তার সমস্যা হয়। উনি প্রায়ই তাজ হোটেল থেকে খাবার আনান, তার বিল বের করব? রাজ্যপাল নিজেকে কী ভাবেন, সুপার পাহারাদারি রাজ্যপাল? রাজ্যপালের প্রশ্রয়ে বিজেপির গুণ্ডারা লোক মারছে। পেগাসাস তো সারা ভারতে চলছে। এক অল ইন্ডিয়ায় পেগাসাস, আর এখনে নাভিশ্বাস। সবার ফোন ট্যাপ করছে।’

এ বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘রাজ্যপাল সংবিধান-সম্মত কাজ করেছেন। নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন মাত্র। মুখ্যমন্ত্রী আসলে পালিয়ে বাঁচতে চাইছেন।’

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংবাদ সম্মেলনের পরই টুইট করেছেন রাজ্যপাল জদগীপ ধনখড়। এক টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫৯-এ বলা আছে, সাংবিধানিক নিয়ম-নীতি এবং আইনের শাসনকে কেউ ব্লক করতে পারেন না। দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত দেশের সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখা।’

সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ৩১ জানুয়ারি

Back to top button