কর্মী থাকেন অনেক সম্মান পাবেন: শামীম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ, ৩০ জানুয়ারি – নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, ‘নারায়ণগঞ্জে আমরা অরিজিনাল আওয়ামী লীগ করি। কারও পায়ের উপর ভর দিয়ে রাজনীতি করি নাই, করবোও না। কর্মী থাকেন অনেক সম্মান পাবেন। আমি সবসময় কর্মী থাকতে চাই। রাজনীতি করতে আসছি, রাজনীতি বেচতে আসি নাই। রাজনীতি বেইচা খাইও না আমি। জনতার শক্তির চেয়ে বড় শক্তি কিছু নাই।’
শনিবার বিকেলে ফতুল্লা স্টেডিয়াম এলাকায় নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল (নম) পার্কে আয়োজিত এক কর্মীসভায় তিনি এইসব কথা বলেন।
সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, ‘কিছু কিছু আওয়ামী লীগের নেতা নিজের এলাকার অস্তিত্ব ঠিক রাখার জন্য বিএনপির ভালো লোকের পক্ষে গেলেও হতো আপত্তি ছিল না। কিন্তু সন্ত্রাসীদের প্রতিষ্ঠিত করতে নিজের এলাকাতে আওয়ামী লীগকে সাইজ করেছেন। ইলেকশন শেষ, এখন কর্মীরা কিন্তু নজর রাখবে। ব্যবস্থাপনার অভাব ছিল। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদেরকে আমি দায়ী করতে চাই। আমি শ্রদ্ধাভাজন আনোয়ার ভাই ও খোকন সাহাকে দায়ী করতে চাই। ওনাদের উচিত ছিল কেন্দ্রের সাথে বাকবিতন্ডা করা উচিত ছিল। কারণ প্রতিটি ওয়ার্ড, প্রতিটি মাটি, প্রতিটি মহল্লা আমার দরকার ছিল। আমার একটা জায়গা দিয়ে হবে না, সবগুলো দরকার। তেমনটা করলে প্রত্যেকটা জায়গায় বঙ্গবন্ধু আর শেখ হাসিনার পতাকা উড়তো। অন্য কোনো পতাকা উড়তো না।’
তিনি বলেন, ‘আগামী জুন মাস পর্যন্ত আমরা একটা পরিবার হয়ে থাকবো। আপনাদের হাতজোড় করে অনুরোধ জানাই। পঁচাত্তরের ঘটনা আর হতে দেবো না। যারা খেলতে চাইবে তাদের ঘরে ঢুকে ঢুকে আঘাত করবো। নেত্রীর দিকে কেউ নজর দিলে নারায়ণগঞ্জ থেকেই আঘাত করবো। আমি মাঠে নামবো। আপনারা কর্মসূচি দেবেন। নির্বাচনে জয়টা বড় কথা নয়। মানুষের মন জয় করাই বড় কথা।’
তিনি আরও বলেন, ‘আঘাত আসবে সামনে এইটা নিশ্চিত। সময়ও বলতে পারি কিন্তু বলবো না কারণ যুদ্ধের একটা রণকৌশল আছে। যুদ্ধে জিততে হলে কিছু রক্ত তো দিতেই হবে, ত্যাগ স্বীকার করতেই হবে। তবে ভয় পাবার কারণ নেই, জিতবো আমরাই।’
শামীম ওসমান বলেন, ‘রাজনীতি থেকে অবসরে যাইতে চাইছিলাম। এমপি থাকা অবস্থাতেই সরতে চাইছিলাম। কিন্তু আঘাত যেহেতু চলে আসছে তাই ওটাকে মোকাবেলা করার জন্য থাকতে হবে। এইটা মজাও লাগে। কারণ আমরা তো খেলোয়াড়। যারা খেলতে চান তাদের বলছি, আমরা ট্রেনিং নিয়েছি। আমারে হেড কোচ শেখ হাসিনা।’
নিজ পরিবারের লোকজনের উপর অভিযোগ থাকলেও ত্বকী হত্যার বিচার চেয়ে শামীম ওসমান বলেন, ‘অনেকে ত্বকী হত্যা নিয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের উপর আঙুল তোলেন। আমি চাই অবিলম্বে ত্বকী হত্যার বিচার হোক। প্রয়োজনে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক।’
কর্মীসভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চন্দন শীল, সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক শামসুল আলম ভূঁইয়া, বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান বাচ্চু, যুগ্ম সম্পাদক আবু জাফর বীরু, সাংগঠনিক সম্পাদক মীর সোহেল আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদা মালা, মহানগর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া সাজনু, নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইফতেখার আলম খোকন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, এনায়েতনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, গোগনগর ইউপি চেয়ারম্যান ফজর আলী, আলীরটেক ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসাইন প্রমুখ।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ৩০ জানুয়ারি